বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান হুন্দাই উড়ন্ত গাড়ি বানাবে। এই গাড়ি হবে ব্যাটারিচালিত। সড়কের পাশাপাশি আকাশেও উড়বে। যা দেখতে অনেকটা ড্রোনের মতোই হবে।
সম্প্রতি এক বিবৃতিতে হুন্দাই দাবি করছে, ‘উড়ন্ত গাড়ির পরিকল্পনা হবে বাস্তব, চলতি দশক শেষ হওয়ার আগেই আকাশে উড়বে’।
ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরির পাশাপাশি উড়ন্ত গাড়ি তৈরিতে মন দিয়েছে পৃথিবীর খ্যাতনামা অটোমোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। এই তালিকায় অনেকটাই এগিয়ে আছে হুন্দাই।
বহুদিন ধরেই এই ধরনের প্রযুক্তির ওপর কাজ করছিল বেশ কয়েকটি কোম্পানি। রাস্তার পাশাপাশি গাড়ির আকাশে ওড়ার স্বপ্ন দেখেছে বহু অটোমেকার। যেখানে গাড়ির দরজাই ডানা হয়ে উড়ান ভরবে আকাশে। এই ধরনের প্রযুক্তিকে ‘ইলেকট্রিক ভার্টিকাল টেক অফ অ্যান্ড ল্যান্টিং এয়ারক্রাফট’ বলা হচ্ছে।
এই প্রযুক্তির সহায়তায় ভর করেই গাড়িকে আকাশে ওড়ানোর স্বপ্ন দেখছে অটোমোবাইল কোম্পানিগুলো। ইতিমধ্যেই এতে বেশকিছু সাফল্য এসেছে। তবে এই প্রযুক্তি খুব একটা সহজসাধ্য বিষয় নয়, যেখানে আপনি ইঞ্জিন স্টার্ট করলেই গাড়ি আকাশে উড়বে।
সম্প্রতি ব্রিটেনে হুন্দাইয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা মাইকেল কোল জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই ‘ফ্লাইং কার’ বা উড়ন্ত গাড়ির পরিকল্পনা বাস্তব হবে। চলতি দশক শেষ হওয়ার আগেই দেখা যেতে পারে এই গাড়ি। তবে এগুলো পুরোপুরি ইন্টার সিটি প্যাসেঞ্জার কার হিসাবে আসবে। প্রথমে খুব কম সংখ্যায় এই ধরনের পরীক্ষা দেখা যেতে পারে। শুরুর দিকে জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়ার কাজে এই উড়্ন্ত গাড়ি ব্যবহার করা হবে। পরবর্তীকালে যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে উড়ন্ত গাড়ির দরজা।
মাইকেল জানান, উড়ন্ত গাড়ির প্রথম ব্যাচটি পরীক্ষামূলকভাবে একটি সিঙ্গল বা ডবল সিটার হতে পারে। এটি যাত্রীদের জন্য ভাবা হবে। পরবর্তীকালে মালপত্র বহনের জন্য আরও বড় ফ্লাইং কারের কথা ভাবতে পারে কোম্পানিগুলো। তবে এই ক্ষেত্রে সবথেকে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে ‘এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল’। ব্যক্তিগত গাড়ির ক্ষেত্রে আকাশে কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে তা সত্যিই ভাবনার বিষয়।
ইতিমধ্যেই মার্কিন মুলুকে এই নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু হয়েছে। সেখানে ফ্লাইং কার তৈরির কোম্পানিগুলো বিষয়টি আমেরিকার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের কাছে তুলেছে। ফেডারাল ইউএস অ্যাডমিনিসস্ট্রেশন এই নিয়ে শিগগিরই আলোচনায় বসবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।