বিনোদন ডেস্ক : পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলে আছি আমি। এলাকার নাম কিসমতপুর। একটা এনজিওর তথ্যচিত্রের শুটিং করতে এসেছি এখানে। ৮ ডিসেম্বর থেকে শুটিং শুরু হয়েছে।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী’তে কেমন সাড়া পাচ্ছেন?
আমাকে বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মী ফোন করেছেন, ছবিটি নিয়ে কথা বলতে চান। তাঁদের কৌতূহলের কারণে মনে হচ্ছে ভালো কিছু হয়েছে। সবাইকে বলেছি, ঢাকায় ফিরে যোগাযোগ করব।
এই ছবিটা সরকারি অনুদানে নির্মিত হয়েছে। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতান তাঁর আঁকা ছবিতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধকে যেভাবে তুলে ধরেছেন, ছবিতে সেটাই তুলে ধরেছেন পরিচালক। এ ধরনের ছবি তো বাণিজ্যিক ঘরানার নয়, ফলে দর্শক সাড়া কম পাওয়া যাবে, এটা মেনে নিয়েই কাজ করেছি।
এস এম সুলতানের ছাত্রী পম্পা দাসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
শুটিংয়ের আগে তাঁর সঙ্গে কতটা মিশেছেন?
ছবিটি করার আগেই আমি নড়াইল গিয়েছিলাম। সেখানে এস এম সুলতানের স্কুলে ছবি আঁকার ক্লাসও করেছি। বিশেষ করে নড়াইলের লোকাল ভাষা শেখার জন্য ছোট-বড় সবার সঙ্গে কথা বলেছি। পম্পা দাসই আমাকে এ ব্যাপারে সাহায্য করেছেন। তিনি এস এম সুলতানের সরাসরি ছাত্রী ছিলেন।
আমি যত দিন ছবিটির শুটিং করেছি, প্রতিদিনই পম্পা দাসের সঙ্গে কথা বলেছি, খুঁটিনাটি জেনেছি। শুটিং হয়েছে নড়াইলের সেই আর্ট কলেজে, যেখানে তিনি শিক্ষকতা করেন।
পম্পা দাস কি ছবিটি দেখেছেন?
আমি ঢাকার বাইরে থাকায় এখনো যোগাযোগ করে উঠতে পারিনি। ঢাকায় ফিরে আগে নিজে ছবিটি দেখব। এরপর উনাকে নিয়ে ছবিটি ফের দেখার ইচ্ছা আছে। নিশ্চয়ই পর্দায় তাঁর চরিত্র দেখে ভালো-মন্দ যা-ই হোক জানাবেন।
‘মৃত্যুঞ্জয়ী’ অনেকটা নীরবে মুক্তি পেয়েছে। এমনকি ছবিসংশ্লিষ্ট অনেকেই জানেন না।
ছবিটির গবেষণা, কাহিনি, চিত্রনাট্য, সংলাপ ও পরিচালনা করেছেন সাজেদুল আউয়াল ভাই। শুটিং চলাকালে না ফেরার দেশে চলে যান তিনি। পরে পরিচালনার দায়িত্ব নেন তাঁরই সহকারী উজ্জল কুমার। হয়তো সাজেদুল আউয়াল ভাই না থাকায় খানিকটা উল্টাপাল্টা হতে পারে। আমাদের দেশে এখনো একটি ছবির বাজেট ধরা হয় শুটিং ও পোস্ট প্রডাকশন পর্যন্ত। মুক্তির সময় যে একটা বাজেট লাগে সেটা কেউ মাথায় রাখেন না। এই ছবিটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। হয়তো বাজেট স্বল্পতার কারণে বড় আয়োজনে প্রচার-প্রচারণা করতে পারেননি তাঁরা।
নতুন আর কী কী করছেন?
কিছুদিন আগে অরণ্য আনোয়ারের ‘হাওর’-এর শুটিং শেষ করেছি। খুব শিগগির ছবিটি মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। জানুয়ারি থেকে রায়হান রাফীর একটি ওয়েব সিরিজের শুটিং শুরু করব। ‘প্রতিদিন শুটিং করতে হবে’—আমি কখনোই এটাতে বিশ্বাসী নই। অভিনয় করি মনের প্রশান্তির জন্য। রাফীর সিরিজটির গল্প শোনার পর মনে হয়েছে, চরিত্রটি নিজের ভেতর ধারণ করতে একটু সময় লাগবে। তাই এই সময়ে অন্য কোনো কাজ আর হাতে নিইনি। সিরিজটির শুটিং শেষ হলে ঈদের কিছু নাটকের কাজ হাতে নেব হয়তো। সূত্র : কালের কন্ঠ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।