বিনোদন ডেস্ক : ২২ বছর অভিনয় করেছেন পর্দার সামনে। অভিনেত্রী রিমঝিম মিত্র এখন টালিপাড়ার সিনিয়র অভিনেত্রী। খলনায়িকার চরিত্রে জমিয়ে অভিনয় করেন। সম্প্রতি রিমঝিম জানালেন, “তিনি রক্তচোষা পিশাচ।”
রিমঝিম মিত্র। ২২ বছর ধরে বাংলা বিনোদন জগত মাতিয়ে চলেছেন এই বাঙালি অভিনেত্রী। দুর্দান্ত ব্যক্তিত্ব এবং দারুণ সুন্দর ফিগারের অধিকারী এই অভিনেত্রী তাঁর অভিনয় কেরিয়ার শুরু করেন ২০০২ সালে। ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘অগ্নিপরীক্ষা’, ‘বহ্নিশীখা’, ‘মন নিয়ে কাছাকাছি’, ‘চেকমেট’, ‘বেহুলা’, ‘ভূমিকন্যা’র মতো বহু বাংলা ধারাবাহিকে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছেন রিমঝিম। কেবল সিরিয়াল নয়, বাংলা ছবিতেও কাজ করেছেন। সুদেষ্ণা রায় এবং অভিজিৎ গুহর পরিচালনায় তৈরি ‘ক্রস কানেকশন’ উল্লেখযোগ্য ছবি। ‘তিন ইয়ারির কথা’, ‘তিন পাত্তি’, ‘এবার শবর’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন রিমঝিম। অভিনয় নয়, রিমঝিমের প্রথম প্রেম নাচ। ‘ঝলক দিখলা জা বাংলা’ নাচের রিয়্যালিটি শো জিতেছিলেন রিমঝিম।
এই মুহূর্তে তিনি কখনও ভাল, কখনও খারাপ চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘তোমাদের রানী’ ধারাবাহিকে। নায়কের বউদির চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিমঝিম। টালিগঞ্জে অবস্থিত ‘তোমাদের রানী’ ধারাবাহিকের সেটে হাজির হয়েছিল TV9 বাংলা। সেখানে পাওয়া গেল রিমঝিমকে। সবুজ শাড়িতে গ্ল্য়ামারাস রিমঝিম বেরিয়ে এলেন মেকআপ রুম থেকে। সোজা চলে গেলেন শট দিতে।
সম্প্রতি সিরিয়ালের নায়ক দুর্জয়ের বউদি, অর্থাৎ রিমঝিম অভিনীত চরিত্রটি শয়তানি থামিয়ে ভাল মানুষ হয়ে গিয়েছে। সেটা যে সত্যি-সত্যি ভাল, মনে শয়তানি নিয়ে মুখে ভাল নয়, সে ব্যাপারে আস্বস্ত করলেন রিমঝিম। বলেন, “চিত্রনাট্য পড়ে মনে হচ্ছে, চরিত্রটা মানুষ হিসেবে পাল্টানোর চেষ্টা করছে। নিজের দোষত্রুটি স্বীকার করে নিচ্ছে।” ভালমন্দ মিলিয়ে অনেক ধরনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন রিমঝিম। এত ধরনের চরিত্রে অভিনয় করে রিমঝিমের মনে হয়েছে, কোনও মানুষকে একটা ছকে সারাজীবনের জন্য ফেলা যায় না। অকপট বলেন, “এই পৃথিবীতে সবচেয়ে তাড়াতাড়ি পাল্টায় মানুষের মন। তাই আমার মনে হয় খারাপ মানুষও ভাল হতে পারে।”
সবুজ শাড়িতে চিরতরুণ রিমঝিমের আসল বয়স এক্কেবারে আড়ালে চলে যায়। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করায় চোখ চিকচিক করে ওঠে অভিনেত্রীর। ২২ বছর ধরে একই রকম ফিগার কীভাবে ধরে রাখছেন রিমঝিম, তা নিয়ে বলতে গিয়ে, “আমি ভ্যাম্পায়ার, রক্ত চোষা পিশাচ। ভ্যাম্পায়ারদের বয়স বাড়ে না। আমারও বাড়েনি।” তারপর রসিকতা থামিয়ে বলেন, “আমার আসলে কিছুই বলার নেই। এই বাক্যটা আমি ব্যবহার করতে চাই না। না হলে লোকে ভাববে আমি ন্যাকামি করছি। সত্যিটা এটাই, আমার খাওয়ার কোনও ঠিক থাকে না। খেলে অনেকটা খেয়ে নিই। না খেলে অনেকটা গ্যাপ পড়ে যায়। ফাস্ট ফুড, সফ্ট ড্রিঙ্ক সবই খাই আমি। কিন্তু আমার অ্য়াপেটাইট (খিদে পাওয়া) একটু কম, সেই জন্যই হয়তো আমি চেহারাটা একই রকমভাবে ধরে রাখতে পেরেছি।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।