বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ মাধুরী দীক্ষিত। তাকে শেষ বড় পর্দায় দেখা গেছে ‘ভুলভুলাইয়া ৩’ ছবিতে। আনিস বাজমী পরিচালিত ছবিটি বক্স অফিসে দারুণ সফলতা পায়।
সম্প্রতি উদযাপিত হয়েছে আইফার ২৫তম বার্ষিকী। জয়পুরে বসেছিল আইফার এবারের আসর। শুরুতে মুখোমুখি আড্ডায় উপস্থিত ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত ও অস্কারজয়ী প্রযোজক গুণিত মোঙ্গা।
‘আইফার মঞ্চে নারীর ভ্রমণ’ শীর্ষক আলাপচারিতায় মাধুরী জানান, বিয়ের পরই তিনি প্রকৃত জীবন উপভোগ করছেন। বিয়ের আগে তিনি প্রচুর কাজ করতেন। তিন শিফটে কাজ করতেন অভিনেত্রী।
তাঁর ভাষ্যে, ‘সত্যিকারের জীবন আমি বিয়ের পর উপভোগ করছি। আমার স্বামী আর সন্তানদের সঙ্গে যে জীবন এখন আমি কাটাচ্ছি, তা আমার কাছে স্বপ্নের মতো। আমি আবার রুপালি জগতে ফিরে এসেছি। কারণ, এটাই আমার স্বপ্ন ছিল।’
স্বাভাবিকভাবে অনুষ্ঠানে নারীকেন্দ্রিক ছবির কথাও উঠে এসেছিল। এই পর্বে মাধুরী বলেন, ‘একটা সময় ছিল, যখন পুরো সেটে আমি, আমার সহকারী আর দু-একজন নারী থাকতাম। কিন্তু এখন চিত্রটা অনেক বদলে গেছে। এখন শুটিং সেটে অনেক নারী দেখি।
মেয়েরা এখন সেটে নানা ধরনের কাজ করেন।’ এ প্রসঙ্গে মাধুরী আরও জানান, ‘একটা সময় আমি “বেটা”, মৃত্যুদণ্ড-এর মতো নারীকেন্দ্রিক ছবিতে অভিনয় করেছি। তখন অনেকেই বলেছিলেন যে মৃত্যুদণ্ড-এর মতো ছবিতে আমি কেন অভিনয় করছি। আমার শুধু বাণিজ্যিক ছবি করা প্রয়োজন বলে তাঁরা মনে করেছিলেন। আজ তাঁদের বলি, আমি মৃত্যুদণ্ড ছবিটা করেছিলাম। কারণ, ওই ছবিতে নারীশক্তির কথা বলা হয়েছিল। আজ আমার খুব আনন্দ হয় এমন সব ছবি দেখে, যেসব ছবির কাহিনির কেন্দ্রে নারীরা থাকেন। তবে এই বদল এক দিনে আসেনি। এর পেছনে মৃত্যুদণ্ড-এর মতো অনেক ছবি আছে। আর এমন সব অভিনেত্রীর হাত আছে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে প্রভাবশালী চরিত্রে অভিনয় করে এসেছেন।’
বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নারী-পুরুষের সমতার প্রসঙ্গে বলিউডের ‘ধক ধক গার্ল’ বলেছেন, ‘মেয়েদের বারবার নিজেদের প্রমাণ করতে হবে। আর বোঝাতে হবে, আমরা সমান। আমরাও দর্শক টানতে পারি, তা আমাদের সব সময় করে দেখাতে হবে। এখনো এখানে অসমতা আছে। আমাদের এখনো অনেকটা পথ চলতে হবে। আর এই অসমতা দূর করতে আমাদের এর ওপর প্রতিদিন কাজ করতে হবে।’
বললে বাড়াবাড়ি হবে না, এবারের আইফা অ্যাওয়ার্ড সন্ধ্যায় সেরা আকর্ষণ ছিল শাহরুখ খান ও মাধুরী দীক্ষিতের নাচের পারফরম্যান্স। ‘দিল তো পাগল হ্যায়’ গানের সঙ্গে তাঁদের নাচ দর্শকদের নস্টালজিক করে।
উল্লেখ্য, মাধুরী দীক্ষিত ১৯৮৪ সালে হীরেন নাগ পরিচালিত অবোধ ছবিতে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। কিছু শিশু ও সহ-অভিনেত্রীর ভূমিকায় অভিনয়ের পর তিনি তেজাব (১৯৮৮) ছবিতে প্রধান নায়িকার ভূমিকায় অভিনয় করেন। এ ছবিটিই তাকে খ্যাতির উচ্চতর আসনে বসায় ও প্রথমবারের মতো ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন এনে দেয়।
তারপর তিনি বেশকিছুসংখ্যক হিট ছবি হিসেবে রাম-লক্ষ্মণ (১৯৮৯), পরিন্দা (১৯৮৯), ত্রিদেব (১৯৮৯), কিশেন কানহাইয়া (১৯৯০) এবং প্রহর (১৯৯১)-এ অভিনয় করেন।
২০০৭ সালে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রেডিফ মাধুরী দীক্ষিতকে বলিউডের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা অভিনেত্রী হিসেবে ঘোষণা করে। মে ২০০৮ সালে লস এঞ্জেলসে ভারতীয় ছায়াছবি উৎসবে সম্মানিত করা হয়। মার্চ ২০১০ সালে ইকোনমিক টাইমস ঘোষণা করে যে, মাধুরী দীক্ষিত ‘৩৩ মহিলার একজন, যাকে নিয়ে ভারতবাসী গর্বিত’।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।