জুমবাংলা ডেস্ক : ছেলেকে দেশের জন্য উৎসর্গ করতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি। আমি একজন বীর শহিদের মা। এর থেকে বড় কি আর পাওয়ার আছে। এরকম সন্তান গর্ভে ধারণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। আজ গর্বে আমার প্রাণ ভরে যাচ্ছে। দেশের জন্য আমার ছেলে জীবন দিয়েছে। দেশবাসী আমার সন্তানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে এটা আমার বিশ্বাস।
একবুক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে কথাগুলো বলছিলেন ৫ আগস্ট সাভারের আশুলিয়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগ দিয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া মানারাত আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহনাফ আবির আশরাফুল্লাহর মা।
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার বারপাখিয়া গ্রামের হারুনুর রশিদের ছেলে। তিনি ছিলেন মায়ের একমাত্র ছেলে সন্তান। আশরাফুল্লাহ পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশনি করে নিজের ও সংসারের খরচ চালাতেন। তিন বোনের মধ্যে দুই বোনের বিয়েও দিয়েছেন তিনি।
বারপাখিয়া গ্রামের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবু তাহের বাবলু বলেন, আশরাফুল্লাহ অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন। সে আমাদের গ্রামের গর্ব।
এদিকে শুক্রবার বিকেলে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম আশরাফুল্লাহর মায়ের সঙ্গে দেখা করে সব প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি বলেন, এই শহিদ পরিবারকে সর্বাত্মক সহযোগিতা দেওয়ার জন্য ওনাদের চাহিদা অনুযায়ী স্থানীয় এবং জাতীয়ভাবে সম্ভাব্য সব প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।