জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এখন রাজনীতির মাঠের খেলোয়াড়। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট করছেন মাগুরা থেকে। অথচ ২০১৩ সালে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন— জীবনেও রাজনীতিতে যোগ দেবেন না।
তবে ভক্তদের কৌতূহলের জন্য সেই স্ট্যাটাসের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন এ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
এই ক্রীড়া তারকার কাছে জানতে চাওয়া— ২০১৩ সালে একটি ঘটনার প্রেক্ষিতে আপনি ফেসবুকে লিখেছিলেন যে, জীবনেও রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে আপনার নেই। সেই ভাবনা তো এখন অবশ্যই বদলেছে। কখন কীভাবে কোন সময়টায় তা বদলে গেল?
প্রশ্নোত্তরে সাকিব আল হাসান বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। একটা ব্যাপার আমি উপলব্ধি করেছি যে, আপনি যদি আসলেই কিছু করতে চান, কিছু দিতে চান সমাজকে, তা হলে রাজনীতিই একমাত্র অপশন। হ্যাঁ, অন্যান্য মাধ্যম দিয়ে হয়তো কিছুটা করতে পারবেন। তবে বড়পরিসরে যদি বড় কোনো পরিবর্তন আনতে চান…।
অধিনায়ক বলেন, আমরা যেমন সামাজিক মাধ্যমে অনেকেই যুদ্ধ করি যে ‘এটা করব, ওটা করব’, প্রতিদিন বিশাল কিছু হয়ে যাচ্ছে, আমাদের জাতীয় দলের নতুন নতুন দল করা হয়, একজন বাদ পড়ে, আরেকজন আসে; সরকার পতন হয়ে যাচ্ছে, কোনো দেশে যুদ্ধ থেমে যাচ্ছে, হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা শুরু হচ্ছে বা থেমে যাচ্ছে, অন্যান্য যেসব দেশে যুদ্ধ হচ্ছে, ইউক্রেন বলেন বা রাশিয়া কিংবা গাজা-ফিলিস্তিন-ইসরাইল— সবকিছুই ফেসবুকে হচ্ছে। এটা বাস্তব দুনিয়া নয়।
তিনি আরও বলেন, যখন থেকে আমার এই উপলব্ধি এসেছে, তখন থেকেই মনে হয়েছে— যদি আসলেই আমার কিছু করার থাকে, তা হলে এর মাধ্যমেই যেতে হবে। ক্রিকেটের মানুষ, ক্রিকেট দিয়ে যদি উদাহরণ দিই, আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ কী করতে পারি? ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হলে কোচিংয়ের সঙ্গে যুক্ত হওয়া বা প্রশাসনিক কিছুতে থাকা। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।