বিনোদন ডেস্ক : গ্ল্যামার জগতের আলোর ঝলকানির নেপথ্যের অন্ধকারের গল্প অনেক সময়ই উঠে আসে। পর্দায় নায়ক-নায়িকারা যে চরিত্রে এসে দাঁড়ান, সেটাই বিশ্বাস করে নেন অনুরাগীরা। কিন্তু মেকআপ সরার পর সত্যিই কী বাস্তবের রূপটা ফুটে ওঠে নায়ক-নায়িকাদের? নাকি সেখানেও থাকে কোনও চিত্রনাট্য!
হ্যাঁ, এমনই প্রশ্ন ওঠে যখন কোনও শীর্ষ নায়িকা এসে দাঁড়ান আদালতের কাঠগড়ায়। বিচারপতির সামনেই চিৎকার করে বলে ওঠেন, আমি সব টাকা দেহ ব্যবসা করেই কামিয়েছি!
ঠিক এমনটিই করেছিলেন বলিউডের এক সময়ের এক নম্বর নায়িকা মালা সিনহা। যে মালা সিনহা ষাটের দশক ও সত্তরের দশকে সবচেয়ে বেশি পারিশ্রমিক নিয়ে সিনেমা করেছেন।
উত্তম কুমার, রাজ কাপুর, কিশোর কুমার, দেব আনন্দ, ধর্মেন্দ্র, রাজ কুমার, রাজেন্দ্র কুমার, বিশ্বজিতের মতো ডাকসাইটে নায়কদের সঙ্গে টেক্কা দিয়ে অভিনয় করেছেন, সেই নায়িকার বাথরুম থেকে পাওয়া গিয়েছিল লক্ষাধিক কালো টাকা।
আয়কর দফতরের রেড পরেছিল অভিনেত্রীর বাড়িতে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়, ১২ লাখ টাকা। তখনকার হিসেবে সেই টাকার অংকটা কিন্তু অনেক।
ব্য়াপারটা একটু খোলসা করে বলা যাক। সালটা ১৯৭৮। তখন মালা সিনহার ক্যারিয়ার মধ্যগগণে। হঠাৎই আয়কর দফতরের কর্তারা হানা দেন অভিনেত্রীর বাড়িতে। মালার বাথরুম থেকে উদ্ধার করা হয় ১২ লাখ টাকা। সেই সময় তার হিসেবে দিতে পারেননি অভিনেত্রী।
পুরো ঘটনাই ভারতের শোবিজাঙ্গনে ব্যাপক হইচইয়ের সৃষ্টি করেছিল। অভিনেত্রীকে তোলা হয়েছিল কাঠগড়ায়। সেখানে নিজের বাথরুমে পাওয়া ১২ লাখ টাকা আয়ের কোনো হিসেব দিতে পারেননি তিনি।
আইনজীবীর কড়া জেরায় বিচারকের সামনেই কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে অভিনেত্রী চিৎকার করে বলেছিলেন, হ্যাঁ! সব টাকা দেহব্যবসা করে কামিয়েছি।
মালার এই মন্তব্যের পরেই অন্ধকার নেমে আসে তার জীবনে। একের পর এক সিনেমা হাতছাড়া হয়ে যায়। এমনকি বলিউডে তার ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়ে যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।