বিনোদন ডেস্ক : ঢাকার মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়া ইসলাম তিশা ও ৬০ বছর বয়সী খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে এই নতুন দম্পতি যেখানেই যাচ্ছে তাদের সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক পড়ে যাচ্ছে। বিয়ের আগে তাদের সেভাবে কেউ না চিনলেও এখন নতুন করে পরিচিতি লাভ করেছেন তারা। প্রতিদিনই বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তিশা-মুশতাক দম্পতি।
সম্প্রীতি একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার জবাবে সিনথিয়া ইসলাম তিশা বলেছেন, টাকার জন্য নয়, আমি ভালোবেসে মুশতাককে বিয়ে করেছি।
সিনথিয়া ইসলাম তিশা আরও বলেছেন, আমি প্রাপ্তবয়স্ক নারী। যে কাউকে বিয়ে করতে পারি। এতে আমার সমস্যা না হলে সমালোচকদের কেনো সমস্যা। যার বাবার সঙ্গে আছি তারই কোনো সমস্যা নেই, তাহলে অন্যদের সমস্যা কোথায়।
এ বিষয়ে খন্দকার মুশতাক আহমেদ বলেন, তিশা ভালো পরিবারের সন্তান। টাকা-পয়সার লোভের প্রশ্নই আসে না, সে ভালোবেসে আমার সঙ্গে থাকতে চেয়েছে।
জানা যায়, প্রতিদিনই বিভিন্ন ডিজিটাল প্লাটফর্মে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন তারা। বিভিন্ন ফ্যাশন হাউজ পরিদর্শন করতে যেতে দেখা যাচ্ছে এই দম্পত্তির। বিয়ে নিয়ে নানা সমালোচনার মুখে পড়লেও এখন তারা নতুন করে উপভোগ করছেন সবকিছু। এমনকি ওয়াজ মাওফিলেও তাদের নিয়ে ইতিবাচক কথা বলা হচ্ছে।
যদিও কলেজছাত্রী তিশার সঙ্গে বিয়ে মেনে নিতে পারেনি মেয়েটির পরিবার। তাদের অভিযোগ ছিল মেয়েকে ফাঁদে ফেলে বিয়ে করেছেন মুশতাক আহমেদ। এ নিয়ে একসময় আদালতের কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হয় তাদের। তবে সব আলোচনা-সমালোচনাকে পেছনে ফেলে নতুনভাবে সামনে এগিয়ে যেতে চান। এরই মাঝে নিজেদের নামে দুদিন আগে ‘তিশা-মোস্তাক লাইফ স্টাইল’ পেজ খোলা হয়েছে। আর এর আগে কিং মুশতাক নামের একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা হয়। প্রথমদিনেই ৫ হাজারের বেশি ফলোয়ার পায় নতুন এ পেজটি।
প্রসঙ্গত, আইডিয়াল স্কুলের গভর্নিং বডির সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে গত ২২ জুন ঠাকুরগাঁও আদালতে মামলা করেন ওই ছাত্রীর বাবা সাইফুল ইসলাম। মামলার প্রেক্ষিতে ওই ছাত্রী ঠাকুরগাঁও আদালতে যান।
এ বিষয়ে মুশতাকের আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘অপহরণের ঘটনায় সিনথিয়ার বাবা সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে খন্দকার মুশতাকের বিরুদ্ধে গত ২২ জুন ঠাকুরগাঁওয়ের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা দায়ের করেন। ট্রাইব্যুনাল মামলাটি তদন্ত করে ৬০ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ঠাকুরগাঁও সদর থানাকে নির্দেশ দেন। এ অবস্থায় ভিকটিম নিজে আদালতে এসে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন। এরপর ছাত্রী নিজ ইচ্ছায় তার স্বামী মুশতাকের সঙ্গে ঢাকায় চলে যান।’
তিনি আরও বলেন, সিনথিয়ার বয়স ১৬ উল্লেখ করে তার বাবা মামলা করেন। কিন্তু আদালত সিনথিয়ার জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাই করে দেখেন, বয়স ১৮ বছর চার মাস। অর্থাৎ তিনি একজন প্রাপ্তবয়স্ক। তার সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার আছে।
চলতি বছরের ২৫ মার্চ তারা বিয়ে করেন। তবে এই ঘটনা জানাজানি হয় জুনের শুরুতে। এর আগে ওই সদস্যের বিরুদ্ধে ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি তদন্তের জন্য ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসককে (শিক্ষা ও আইসিটি) তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে তদন্তের আগেই বিয়ের ঘোষণা দেন দুজন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।