জুমবাংলা ডেস্ক : জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, কোনো দলকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে আমি না। জামায়াত নিষিদ্ধের সময় আমি এর বিপক্ষে মত দিয়েছিলাম।
সোমবার বনানী জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, বর্তমানে আমাদের সম্পর্কে অনেক অপপ্রচার চলছে। আজ তা পরিষ্কার করবো। আমরা যখন যে রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা দেশবাসীর স্বার্থেই নিয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে স্বাভাবিক কথা বলা কষ্টকর ছিল। শেখ হাসিনা সরকারের দুইটি সাফল্য তার একটি হলো ভীতি এবং অপরটি হতাশা।
তিনি বলেন, আমাদের বলা হয় আমরা ফ্যাসিবাদের দোসর এবং জুলাই গণহত্যার সমর্থক। ছাত্র আন্দোলনে যারা শহিদ হয়েছে আমরা তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। যারা আহত নিহত হয়েছে আমরা তাদের বীর মুক্তিসেনা হিসেবে আখ্যায়িত করছি। রাষ্ট্র সকল সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে থাকবে, আমরা সেই প্রত্যাশা করি।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, দেশর ইতিহাসে এত অল্প সময়ে এত সফল আন্দোলন হয় নাই। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে আমরা শুরু থেকেই ছাত্র আন্দোলননে সমর্থন করেছিলাম যার প্রমাণ মিডিয়াতে রয়েছে।
আন্দোলনে রংপুরসহ বিভিন্ন স্থানে জাতীয় পার্টির কর্মী মারা গেছেন, আহত হয়েছে, মামলা হয়েছে উল্লেখ করে বিগত সময়ে আন্দোলনের পক্ষে জিএম কাদেরের যে সব বক্তব্য প্রিন্ট মিডিয়াতে প্রকাশ হয়েছে তা তিনি পর্যায়ক্রমে মিডিয়াকর্মীদের সামনে পাঠ করেন।
জিএম কাদের বলেন, বিগত তিনটি নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করেছি বিধায় আমাদের আওয়ামী লীগের দোসর বলা হয়। ২০১৪ সালে আমরা নির্বাচন বর্জন করেছিলাম কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান এরশাদকে সরকার সিএমএইচে ভর্তি করে। বাইরে আমরা ২৭০ জন ঐ নির্বাচন বয়কট করেছি। তখন এরশাদকে চাপ দিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। ঐ নির্বাচনে জাতীয় পার্টি গিয়েছে এটা যেমন সত্য, আবার যায় নাই এটাও তেমন সত্য।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালে বিএনপিসহ সব দলই নির্বাচনে গিয়েছে। তাই সব দলই ঐ সংসদে বৈধতা দিয়েছিল। ’২৪ এর নির্বাচনে আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহারের দিন সরকার তার বিভিন্ন এজেন্সির মাধ্যমে অফিসে আটক করে বাই ফোর্স আমাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করানো হয়েছে। আমরা না গেলেও নির্বাচন হতো, কিন্তু দল হিসেবে জাতীয় পার্টি ক্ষতিগ্রস্ত হতো। এই কথা আমি সব জায়গায় বলেছি। আমরা আওয়ামী লীগকে সব সময় সমর্থন দিয়েছি এটি কোনোভাবেই সঠিক নয়। ২০০৮ সালে সংসদে মন্ত্রী হয়েও আমরা সরকারের সমালোচনা করেছি। আমাদের সংবিধানে এক ব্যক্তিকে সর্ব ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তাই তারা দেশকে গণতান্ত্রিক পথে পরিচালনা করে নাই। আমাদের গণতন্ত্র বাই দ্য পিপল হয়েছে, কিন্তু ফর দ্য পিপল হয় নাই।
গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার আলোচনায় জাতীয় পার্টিকে ডাকবে কি ডাকবে না সেটা সরকারের বিষয়। তবে না ডাকার পক্ষে আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ উপস্থাপন করা হয়েছে সে ব্যাপারে আপত্তি আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।