রাশেদা রওনক খান: সন্তান হিসেবে অসম্ভব ভাগ্যবান আমি। জাদুকরী এক মায়ের গর্ভে জন্মেছিলাম। সামান্য দুটি হাত দিয়ে কীভাবে ঘর বাইরের দশ দিক সামলানো যায় তার কাছ থেকে শেখার ছিল, যদিও তার তুলনায় কিছুই পারি না সামলাতে। বাবার বাড়ি, মায়ের বাড়ি, শ্বশুর বাড়ি, ছাত্র-ছাত্রী, সমাজ সংসার, তাঁর বিভিন্ন সংগঠনের মানুষজন থেকে শুরু করে বাড়ির সাহায্যকারী মানুষগুলোর পরিবার-কাদের না আগলে রেখেছেন? পরিচিত যে কারও বিপদ আপদে পাশে থাকতেন পরম মমতায়, আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিতেন তাদের। ফলে আশে-পাশের মানুষ যেকোনো বিপদে তার উপর ভরসা করত। কেউ সাহায্য চাইলে অন্যের সমস্যাকে নিজের ভেবে সমাধানের চেষ্টা করতেন।
ছোটবেলায় আমার তাকে ভিন গ্রহের মানুষ মনে হতো, কিভাবে সকলের জন্য একজন মানুষ এভাবে কাজ করতে পারে! তিনি আমাদের মেয়ে হিসেবে নয়, আগে মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। তাই হয়তো মনের অজান্তেই আমি নিজেকে নারী ভাবার আগে মানুষ ভাবি। এই মা হতে অনেক সাধনা, ত্যাগ আর ধৈর্য প্রয়োজন, যিনি ঠিক বাংলার দুখিনী মা ছিলেন না, অসম্ভব ভালোবাসায় পরিপূর্ণ, আত্মবিশ্বাসী ও মানবিক মা ছিলেন। উল্টোদিকে দুর্ভাগ্য যে, অল্প সময়েই আমি হারিয়ে ফেললাম তাকে। সারাটা জীবন আমাদের পড়া-লেখার পিছনে ছুটতে ছুটতে তাঁর সময় গেলো, আমাদেরও তাঁকে সেভাবে সময় দেয়া হয়নি নিজেদের পড়ালেখার ব্যস্ততায়, হয়তো এখন দিতে পারতাম, কিন্তু বিধাতা তো আমাদের সময় করে সময় দেবার জন্য বসে থাকবেনা, তিনি চলেন তাঁর নিজের নিয়মে। তাই যাদের মা আছে, সময় দিন, ভালো রাখুন, শ্রদ্ধা জানান। ভালো থাকুক আমাদের মায়েরা। ফেসবুক থেকে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।