আন্তর্জাতিক ডেস্ক : এক সপ্তাহ আগে ইকুয়েডরের এক প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও নামের ওই প্রার্থী নিহতের পর তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন আন্দ্রেয়া গঞ্জালেজ। তিনি ফার্নান্দোর দলেরই সদস্য। এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩৬ বছর বয়সী আন্দ্রেয়া।
ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিওর এই উত্তরসূরী বিবিসি নিউজআওয়ার অনুষ্ঠানে নিজের জীবন নিয়ে উদ্বেগের কথা জানান। তিনি বলেন, ‘আমি ফার্নান্দোর উত্তরসূরীকে মরতে দিতে চাই না। আমি এখন দিনের ২৪ ঘণ্টাই বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে থাকি।’
৫৯ বছর বয়সী ফার্নান্দো ভিলাভিসেনসিও দেশটির জাতীয় পরিষদের সদস্য ছিলেন। তিনি গত বুধবার (৯ আগস্ট) ইকুয়েডরের উত্তরাঞ্চলীয় শহর কুইটোতে একটি নির্বাচনী সমাবেশে অংশ নেওয়ার পর হামলার শিকার হন। ফার্নান্দো সমাবেশ শেষে যখন গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলেন তখন একজন লোক এগিয়ে এসে তাঁকে গুলি করে।
ফার্নান্দো হত্যার ঘটনার পরদিন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো ল্যাসো। দুই মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করেছে। হত্যার তদন্তে শিগগিরই একটি প্রতিনিধি দল আসবে।’
ইকুয়েডরের পার্শ্ববর্তী কলম্বিয়া ও মেক্সিকোর মাদক কারবারিরা স্থানীয় অপরাধ চক্রের সঙ্গে মিলে দেশটিতে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতি এবং মাদককে কেন্দ্র করে ইকুয়েডরে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের বিরুদ্ধে সরব প্রার্থীদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফার্নান্দো।
তবে আন্দ্রেয়া গঞ্জালেজের দাবি, এটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। বিবিসিকে তিনি বলেন, ‘আমরা পুরোপুরি নিশ্চিত যে এটি একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড। এর মধ্যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। ফার্নান্দো স্পষ্টভাবে বলেছিলেন, তাঁর কাছে এমন তথ্য রয়েছে যা এই নির্বাচনকে বদলে দিতে পারে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।