বিনোদন ডেস্ক : দুজনেই প্রমাণ করেছেন— বয়স একটা সংখ্যামাত্র। তা কখনো ছাপ ফেলতে পারে না সম্পর্কে, ভালোবাসায় আর বিবাহিত জীবনে। হাজারও ট্রোল আর সমালোচনাকে উপেক্ষা করে সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যান টালিউড অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক ও অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ। হানিমুনে মালদ্বীপে ভালোবাসায় বুঁদ ছিলেন তারা। সে রকমই একটি ছবি সামাজিমাধ্যমে পোস্ট করে শেয়ার করলেন এ অভিনেত্রী।
বিয়ের পরই সগর্বে শ্রীময়ী ঘোষণা করেছিলেন—মানসিক ও শারীরিক দিক থেকে কাঞ্চনের ঘরে সুখে আছেন তিনি। শ্রীময়ী ২৮ আর কাঞ্চনের ৫৪ হলেও তাদের বয়সের পার্থক্য ২৬ বছরের । কিন্তু তাতে বয়স কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। শুধু তাই নয়, কাঞ্চনের এটি তৃতীয় বিয়ে, আর শ্রীময়ীর প্রথম। তবে এসব কিছুই বোঝা যায় না তাদের সামাজিকমাধ্যমে পোস্ট করা ছবি দেখলে।
গত মার্চ মাসে বিয়ে করার পর জুলাই মাসে মালদ্বীপে হানিমুন করতে যান শ্রীময়ী ও কাঞ্চন। বিলাসবহুল ওয়াটার ভিলায় রোম্যান্স উঠেছিল চরমে। নীল জল আর সাদা বালির দেশে ভালোবাসা মাখা ছবি এর আগেও দিয়েছেন সামাজিকমাধ্যমে। কিন্তু শনিবার শ্রীময়ী যে ছবিটি শেয়ার করেন ইনস্টাগ্রামে, সেটিও ছিল খুব চমৎকার।
রোমান্টিক মুডে শ্রীময়ীকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরেছেন কাঞ্চন। ফুল ছাপ লং ড্রেস পরে আছেন শ্রীময়ী। আর প্রিন্টেড হাওয়াই শার্ট কাঞ্চনের গায়ে। ছবির ক্যাপশনে লেখা— I love you always & forever mumma। অর্থাৎ তোমাকে এভাবেই সবসময়, সারাজীবন ভালোবেসে যাব মাম্মা।
যদিও জীবনে নেটিজেনদের সমালোচনার মুখ বন্ধ রাখতে প্রথম থেকেই হানিমুনের ছবিতে কমেন্ট লিমিটেড রাখেন অভিনেত্রী। এই ছবির ক্ষেত্রেও সেই নিয়ম পালন করা হয়েছে।
কাঞ্চনে হৃদয় ভালোবাসায় ভরপুর। তিনি যে রোমান্টিক তার প্রমাণ এর আগেও দিয়েছেন বহুবার। গত ১৪ ফেব্রুয়ারির দিন একেবারে হাঁটু মুড়ে বসে প্রপোজ করেছিলেন শ্রীময়ীকে। যদিও আগে থেকেই ম্য়ারেজ রেজিস্ট্রির সব বন্দোবস্ত করে রেখেছিলেন তিনি। সই আর ছবি যোগ করে রেখেছিলেন আবেদন করার জন্য। কিনে রেখেছিলেন শাড়ি আর ম্যাচিং ব্লাউজ।
যদিও শ্রীময়ীর পরিবার সবটাই জানত। আর শ্রীময়ী হ্যাঁ করতেই পরিয়ে দেন আংটি। কাগজে সই করে হয়ে যান একে-অপরের। পরে বিয়ে করে ফেলেন কাঞ্চন ও শ্রীময়ী। সব নিয়ম মেনে চার হাত এক হয়। গায়েহলুদ, মালাবদল, অগ্নিসাক্ষী রেখে সাত পাক ঘোরা, প্রতিটা মুহূর্ত ভাইরাল হয়েছিল সামাজিকমাধ্যমে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।