স্পোর্টস ডেস্ক : ভারত-পাকিস্তান দ্বিপক্ষীয় সিরিজ তো হয় না ১১ বছর ধরে। একারণে আইসিসি ইভেন্ট, এশিয়া কাপে দুই দলের ম্যাচ নিয়ে অনেকেরই থাকে তুমুল আগ্রহ। সেক্ষেত্রে পাকিস্তান যদি আয়োজকও থাকে, তবু ভারতীয় ক্রিকেট দল প্রতিবেশী দেশে খেলতে চায় না। সালমান বাট এ ব্যাপারে আইসিসিকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে বলেছেন।
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান। আনুষ্ঠানিকভাবে সূচি প্রকাশ করা না হলেও গত মাসে ক্রিকবাজের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ মার্চ পর্যন্ত হবে মিনি বিশ্বকাপখ্যাত টুর্নামেন্টটি। তবে পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট মানেই যে ভারতীয় দলের সফর নিয়ে অনিশ্চয়তা। ২০০৮ এশিয়া কাপের পর থেকে পাকিস্তানে খেলতে যাচ্ছে না ভারতীয় ক্রিকেট দল। ২০২৩ এশিয়া কাপ পুরো পাকিস্তানে হওয়ার কথা থাকলেও হাইব্রিড মডেলে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান দুই দেশ মিলে হয়েছে। কারণ নিরাপত্তার অজুহাতে পাকিস্তান সফর করেনি ভারতীয়রা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরু হতে এখনো অনেকটা সময় বাকি রয়েছে ঠিকই। তবে বাট যেন ২০২৩ এশিয়া কাপের ঘটনাটা ভুলতেই পারছেন না। এছাড়া ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে গায়ানায় ভারতের সেমিফাইনাল খেলা নিয়ে অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ মন্তব্য করেন, ভারতকে সুবিধা দিয়েছে আইসিসি। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে ভারতের প্রতি শক্ত হতে বলেছেন বাট। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেন, ‘যদি তারা (ভারত) আসে তো ভালো। না এলে আইসিসির এটা দেখা দেখা উচিত। আমি দেখতে চাই তারা অন্য দেশের সঙ্গে যেমন আচরণ করে, ভারতের সঙ্গে একইভাবে করতে পারে কি না। এতেই বোঝা যাবে একটা সংস্থা হিসেবে তাদের কতটা ক্ষমতা রয়েছে ও কতটা নিরপেক্ষ থাকতে পারে।’
২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিও নিরপেক্ষ ভেন্যুতে হওয়ার আলোচনা শোনা যাচ্ছিল কযেক মাস আগে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিকমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে যে পাকিস্তান সফরে যেতে নাকি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) আগ্রহী। বাট ব্যাপারটা যেন হজম করতে পারছেন না। পাকিস্তানের সাবেক বাঁহাতি ব্যাটার বলেন, ‘আমরা সবকিছু চেষ্টা করে দেখছি। বেশ কিছু প্রতিবেদন দেখলাম যে জয় শাহ ইতিবাচক সংকেত দিয়েছেন। সে যা-ই হোক, আমার মনে হয় না তিনি কোনো রকম সংকত দিয়েছেন। আমি অত বেশি রোমাঞ্চিত হতাম না যদি তার কাছ থেকে কোনো সংকেত আসত। কারণ এটা আইসিসির দায়িত্ব যাতে সকল দল পাকিস্তানে আসে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।