লাইফস্টাইল ডেস্ক : গরমে যখন জীবন ওষ্ঠাগত তখন যে খাবারটি সবচেয়ে লোভনীয় হয়ে ওঠে তা হলো আইসক্রিম। কেবল যে লোভনীয় তা নয়। অনেকের প্রিয় খাবারের তালিকায়ও থাকে এটি। এমন মানুষ কমই আছেন যে আইসক্রিম খেতে পছন্দ করে না। তবে পরিচিত এই খাবারটির ইতিহাস অনেকেরই অজানা।
বর্তমানে আইসক্রিম অত্যন্ত সহজলভ্য একটি খাবার। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন স্বাদের বিভিন্ন ধরনের আইসক্রিম পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই আছে এই খাবারটির নিজস্ব নামীদামী ব্র্যান্ড। পাশ্চাত্যের আইসক্রিম কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা হয় মূলত ফ্লেভারের সংখ্যা নিয়ে। কে কত সুস্বাদু ফ্লেভারের আইসক্রিম বাজারে আনতে পারে সেটিই মূল বিষয়।
সুস্বাদু খাবারটির সূত্রপাত হয়েছিল চীন দেশে। এরপর এটি বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। ইতিহাসবিদদের মতে, ইতালীয় পর্যটক মার্কো পোলো যখন চীনে গিয়েছিলেন, সেই সময়ে চীনে ক্রিম, দুধ ও চিনির মিশ্রণে একটি খাবার তৈরি হতো। যেটি পরবর্তীতে আইসক্রিম নামকরণ করা হয়।
কথিত আছে, ইতালীয় পর্যটক মার্কো পোলো আইসক্রিম তৈরির কৌশলটি চীন থেকে ইউরোপে নিয়ে আসেন। অবশ্য আইসক্রিম তৈরির ইতিহাস নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। ইতালি দাবি করে, সেই দেশেও আইসক্রিম তৈরি হয়েছিল।
চীন হোক বা ইতালি, যে দেশেই আইসক্রিম বানানো শুরু হোক না কেন বর্তমানে এর জনপ্রিয়তা বিশ্বজুড়ে। প্রায় সবদেশেই ঠান্ডা মজাদার এই খাবারটি আইসক্রিম নামে পরিচিত। কখনো কি ভেবেছেন এর বাংলা কী? ৯৫% শতাংশ মানুষই কিন্তু জানেন না এর উত্তর।
আইসক্রিম একটি ইংরেজি শব্দ। এর একটি বাংলায় অর্থ রয়েছে, যা অনেকেরই অজানা। সাধারণত আইসক্রিমের প্রকৃত বাংলা অর্থ হচ্ছে কুলফি মালাই বা বরফ মালাই। তবে আমরা বেশিরভাগ মানুষ আইসক্রিম বলতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।