জুমবাংলা ডেস্ক : বর্তমান সময়ে প্রযুক্তির দ্রুত উন্নতির সাথে সাথে সরকারী প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির (ICT) ব্যবহার অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি, দুর্নীতি দমন কমিশনের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করা হয়, যেখানে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ এবং প্রযুক্তির অপশনসমূহ নিয়ে আলোচনা হয়। এই প্রশিক্ষণটি দেশের উন্নয়নে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি ও উদ্যোগগুলোর প্রতি একটি শক্তিশালী চিত্র তুলে ধরেছে।
Table of Contents
প্রযুক্তির মাধ্যমে পাবলিক প্রকিউরমেন্টে পরিবর্তন
আপনারা জানেন, সাম্প্রতিক সময়ে পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ও বিধির আওতায় বিস্তারিত আলোচনা করার জন্য গজারিয়া, মুন্সীগঞ্জের ইঞ্জিনিয়ারিং ষ্টাফ কলেজ বাংলাদেশ (ইএসসিবি) -এ একটি সেশন অনুষ্ঠিত হয়। সেশনটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী, এনডিসি। তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে সুদূরপ্রসারী পরিবর্তন সম্ভব।”
সরকারের তরফ থেকে প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তির ব্যবহার সর্বোচ্চ পর্যায়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সহায়তা করছে। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আটটি জেলার প্রায় তিরিশজন কর্মকর্তা পাবলিক প্রকিউরমেন্টের আইনি কাঠামো ও কার্যকরী ধারণা লাভ করেন, যা তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে জনগণের সুবিধা বৃদ্ধি করবে।
প্রযুক্তির সাহায্যে তথ্যের সঠিক ব্যবহারে বিশেষ নজর দেওয়া হচ্ছে, যা সরকারি খরচের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অপরিহার্য। প্রশিক্ষণ পদ্ধতির অংশ হিসেবে ইএসসিবির প্রকিউরমেন্ট ইউনিটের প্রধান ড. তাওহীদ হাসান সকল প্রশিক্ষণার্থীদের ধন্যবাদ জানান, এবং আশা করেন যে তারা এই শেখা থেকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে জনগণের সেবায় নামবেন।
সরকারের ঘনিষ্ঠ নজরদারি ও সুশাসনের প্রচেষ্টা
প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে শীষ হায়দার চৌধুরী আরও বলেন, “সরকার দেশের মানুষের সুবিধা বাড়াতে সকল অঙ্গ কঠোর পরিশ্রম করছে। সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার জন্য আমাদের কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে।” তিনি বলেন, প্রকিউরমেন্ট আইন ও প্রযুক্তির সহযোগিতায় সাফল্য অর্জন করা সম্ভব।
এগুলি কেবল উদ্দেশ্য নয়, বরং কার্যকর মাধ্যম যাতে তারা সরকারের সম্মানজনক স্থিরতা অর্জন করতে পারে। এই প্রশিক্ষণ সেশনটি সারা দেশে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে সুশাসন এবং স্বচ্ছতার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
মূল نکতাগুলি:
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সমন্বয়ে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রশাসনিক উদ্যোগ।
- সরকারি খরচের কার্যকারিতা বৃদ্ধির জন্য পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইনের সঠিক ব্যবহারের গুরুত্ব।
- প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জেলা ভিত্তিক কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি।
প্রযুক্তি ও প্রকিউরমেন্টের সংযোগের উপর একটি নিবিড় দৃষ্টি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। এতে জনগণের আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠায় অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে।
বিভিন্ন দলে প্রশিক্ষণের বিষয়ে উদ্বুদ্ধতা
প্রশিক্ষণটি তিন ব্যাচে পরিচালিত হয় এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ মেলবন্ধন সৃষ্টি করে। এ ধরনের প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য হলো দক্ষতার প্রসার, সুশাসনের প্রতিষ্ঠা, এবং সরকারী খরচের পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা অনুসরণের ক্ষেত্রে দক্ষতা বৃদ্ধি। সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাগণ যেমন সরকারের নানামুখী উদ্যোগকে বোঝয়ার চেষ্টা করেন, তেমনি জনগণের কল্যাণে তাদের প্রচেষ্টা বাড়াতে প্রযুক্তির ভূমিকা প্রতিরোধ করে জানানো হয়।
সরকারের সবধরণের প্রকল্প, যেখানে প্রযুক্তির সংযোগ প্রয়োজন, সেক্ষেত্রে বিভিন্ন দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়কে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, যা জনগণের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে। সাধারণ জনগণের মধ্যে Awareness বৃদ্ধি এবং প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থাপনার মধ্যে স্বচ্ছতার প্রবাহ অব্যাহত রাখা অপরিহার্য।
FAQs
1. কীভাবে প্রযুক্তি পাবলিক প্রকিউরমেন্টের উন্নয়নে সাহায্য করে?
প্রযুক্তি পাবলিক প্রকিউরমেন্টের মাধ্যমে তথ্যের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করে যা দুর্নীতির সম্ভাবনা কমায় এবং কার্যকরী লেন-दেনকে সমর্থন করে।
2. কারা এই প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেছেন?
এই প্রশিক্ষণে সারা দেশের বিভিন্ন জেলার পাবলিক প্রকিউরমেন্ট কর্মকর্তাগণ অংশগ্রহণ করেছেন।
3. সরকারের কোন উদ্যোগের ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ হচ্ছে?
সরকারি খরচের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ব্যবহার করা হচ্ছে।
4. প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য কী ছিল?
প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে দক্ষতা বৃদ্ধি, আইন ও বিধিমালার সঠিক ব্যবহার এবং জনগণের সেবা উন্নত করা।
5. এসিসিবির প্রশিক্ষণ program কেমন?
এসিসিবির প্রশিক্ষণ program অত্যন্ত কার্যকরী এবং সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সহায়ক।
6. প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা পাবলিক প্রকিউরমেন্টে কী?
প্রযুক্তির ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা পাবলিক প্রকিউরমেন্টে আরও স্বচ্ছতা, গতি এবং কার্যকরীতা এনে দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।