আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেটের সরকার সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। বুধবার জোটের অন্যতম সদস্য ও হুইপ ইদিত সিলমান পদত্যাগ করার ফলে দেশটির সংসদে এখন সরকার ও বিরোধীদের সমান সংখ্যক (৬০-৬০টি করে) আসন রয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জেরুজালেম পোস্টের খবরে বলা হয়েছে, সরকার থেকে আর একজন পদত্যাগ করলে বিরোধীরা বিশেষ আইন প্রয়োগ করে সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন।
হঠাৎ করেই গতকাল ইদিতের পদত্যাগের ঘোষণায় বেনেটের পতন অনেকটা সময়ের ব্যাপার হয়ে উঠেছে। নিজের দলের সদস্যই এখন বেনেটের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলা হচ্ছে, এ যেন ঘরের শত্রু বিভীষণ। পদত্যাগের পর সিলমান জানিয়েছেন, ‘তিনি আর নিতে পারছেন না। অর্থাৎ জোটের সঙ্গে তার বনিবনা হচ্ছে না।’ এখন প্রশ্ন উঠেছে- ইসরায়েলের রাজনীতিকে হঠাৎ করে এভাবে চাঞ্চল্য সৃষ্টিকারী ইদিত সিলমান আসলে কে এবং কেনইবা নাফতালি বেনেটকে বিপাকে ফেললেন।
রাজনীতিতে ইদিত সিলমানের উত্থান নিয়ে ইসরায়েলি সংবাদপত্র হারিৎজ-এর খবরে বলা হয়েছে, ইদিত রাজনৈতিক জীবন শুরুর আগে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর ইসরায়েলের বৃহত্তম স্বাস্থ্য রক্ষণাবেক্ষণ সংস্থা ক্ল্যালিট হেলথ সার্ভিসেসে সফলতার সাথে কাজ করেন। সেখান থেকে ২০১৯ সালে তার রাজনীতিতে আগমন ঘটে। মূলত কাহানিস্ট প্রার্থী মাইকেল বেন আরিকে অযোগ্য ঘোষণা করায় সুযোগ পান ইদিত। এতে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু সরকার গঠনে ব্যর্থ হন এবং আরেক দফা নির্বাচন হয়।
পবিত্র কুরআন পড়ে অনুপ্রাণিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেন এই মার্কিন নারী
২০২১ সালের মার্চের নির্বাচনে পুনরায় নেসেটের আইনপ্রণেতা হন ইদিত সিলমান। তখন ইদিত সিলমানকে নেসেটের কোয়ালিশন হুইপ হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। পাশাপাশি নেসেটের স্বাস্থ্য কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তবে সম্প্রতি সময়ে ইসরায়েলের ডানপন্থী এই আইনপ্রণেতা দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিতজান হরোভিতজ সঙ্গে মতাদর্শগতভাবে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। যদিও নিতজান-ইদিত বিরোধ আগে থেকেই ছিলো। অবশেষে পদত্যাগের আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তার মতের অমিল বিষয়টি সামনে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।