লাইফস্টাইল ডেস্ক : শিশুরা শাকসবজি, ফলমূল, দুধসহ বাড়ির তৈরি পুষ্টিকর খাবার খেতে চায় না। শাসনে-বারণে প্রতি বেলায় খাওয়াতে গিয়ে কপালে বিরক্তির ভাঁজ বেড়ে যায় মায়েদের। তবে খানিকটা ভিন্ন ভাবে তৈরি সুস্বাদু খাবার এবং সুন্দর পরিবেশনা বাচ্চাদের পুষ্টিকর খাবারে রুচি ফিরিয়ে আনতে পারে।
সুস্বাদু রান্নায় রুচি বদল: বাচ্চা যদি খেতে না চায় তাহলে শাসন না করে বরং কেন খেতে চাইছে না সেটা ভেবে দেখুন। না খাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে স্বাদহীন খাবার। অনেক মায়েদেরই ভ্রান্ত ধারণা থাকে যে ছোটদের জন্য তেল-মসলা ছাড়া খাবার বেশি উপযুক্ত। এমন ভুলের কারণেই অধিকাংশ বাচ্চা বাড়ির তৈরি খাবারে অনীহা দেখায় এবং বার্গার, পিৎজা, পেস্ট্রিতে তুমুল আগ্রহ থাকে তাদের। তাই পরিমাণমতো তেল-মসলা দিয়ে সুস্বাদু খাবার রান্না করতে হবে।
খাবারে থাকুক ভিন্নতা: প্রতিদিন একই রকম খাবার না দিয়ে আপনার সন্তানকে বিভিন্ন ধরনের খাবার খেতে দিন। যেমন বাচ্চা সিদ্ধ ডিম খেতে না চাইলে ওমলেট বানিয়ে দিতে পারেন। আস্ত ফল খেতে না চাইলে জুস বানিয়ে দিন।
শাসন নয়: প্রথম প্রথম বাচ্চারা হয়তো ফেলে ছড়িয়ে খাবে, নোংরা করবে, কিন্তু এতে ধৈর্য হারালে চলবে না। পরিবারের সবার সঙ্গে শিশুকে খেতে দিন। এতে বাচ্চা খেতে উৎসাহ পাবে তেমনই পারিবারিক বন্ধনও সুদৃঢ় হবে। আর না খেলে কখনই বকাঝকা করবেন না। এতে খাবার নিয়ে তার অহেতুক ভীতি তৈরি হবে।
জাঙ্ক ফুড: সন্তানের আবদার মিটাতে চকলেট, চিপস, কোমল পানীয় বা আইসক্রিম কিনে দেন অনেক অভিভাবক। এ খাবারগুলোতে সুক্রোজের পরিমাণ বেশি থাকার কারণে রক্তে শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় এবং খিদের অনুভূতিও চলে যায়। এসব খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়াবেন। জাঙ্ক ফুডের প্রভাবে বাচ্চারা লাঞ্চে অল্প খেয়ে ওঠে যেতে চাইলে মায়েদের বকাঝকা শুরু হয়। তাই হয় এগুলো খাওয়ানো বন্ধ করুন নয়তো আপনার সন্তানের খিদে পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুধু শুধু বকাঝকা করবেন না।
উপকারিতা বলুন: আপনার সন্তান যেটা খেতে পছন্দ করবে সে ধরনের খাবার তৈরি করে খেতে দিন। গল্পের ছলে ওকে বিভিন্ন খাবারের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করুন। যেমন, গাজর খাওয়ার সময় বলুন, এতে চোখ ভালো থাকে কিংবা দুধ খেলে বলুন, আদরের সোনামণির শক্তি অনেক বেড়ে গেল। এতে বাচ্চার ঘরের তৈরি খাবারের প্রতি উৎসাহ বাড়বে। আর চেষ্টা করবেন স্ন্যাক্স হিসেবে বাচ্চাকে মুখরোচক ও পুষ্টিকর খাবার বানিয়ে দিতে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।