লাইফস্টাইল ডেস্ক : তাপমাত্রার পারদ যেন কিছুতেই উপরে উঠছে না। প্রচণ্ড শীতে নাকাল দেশবাসী। দিনের বেলায় কোনোরকম ২০ এর ঘরে পৌঁছালেও রাত নামতেই তা আবার চলে আসে ১৫/১৬ ডিগ্রিতে। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগে, এমন পরিস্থিতিতে যদি এয়ার কন্ডিশনার (AC) ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চালানো হয় তবে কি ঘরের উষ্ণতা বাড়বে?
গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা থাকে ৩০ এর ওপর। কখনো কখনো তা ৩৫ ও ছুঁয়ে ফেলে। অতিরিক্ত গরম থেকে বাঁচতে তখন ২৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এসি চালানো হয়। কিন্তু শীতে এমনিই তাপমাত্রা থাকে কম। তখন যদি উল্টো এসির তাপমাত্রা বাড়িয়ে চালানো হয় সেক্ষেত্রে কী ঘটবে?
সাধারণত ঠান্ডা থেকে বাঁচতে মানুষ রুম হিটার ব্যবহার করে। এই রুম হিটার বা ফায়ারপ্লেসের কারণে ঘরে অক্সিজেনের অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমনকি অনেকসময় অক্সিজেনের অভাবে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। রুম হিটার ব্যবহার না করলে কী করবেন? শীতের তাপমাত্রার চেয়ে এসির তাপমাত্রা বেশি বাড়িয়ে কি তাপ মিলবে? চলুন জানা যাক-
ধরুন ঘরের তাপমাত্রা ১৫/২০ ডিগ্রি আর আপনি ৩০ ডিগ্রিতে এসি চালু করলেন। সঙ্গে সঙ্গেই কম্প্রেসার তার কাজ শুরু করবে। কম্প্রেসারের কাজ হলো ঘরে উপস্থিত আর্দ্রতা দূর করা। তবে ঘরে যদি আর্দ্রতা না থাকে তবে কম্প্রেসার চলবে এবং কেবল ফ্যানের মতো ঠান্ডা বাতাস দেবে।
একটি সাধারণ এসি যখন এর ভেতরে স্থাপিত রেফ্রিজারেন্ট ও কয়েলের মাধ্যমে ঘরে ঠান্ডা বাতাস নিক্ষেপ করে, তখন ঘরের বায়ুমণ্ডল শীতল হয়। এমন অবস্থায় আপনি যদি এসি চালান তখন শুধু ঠাণ্ডাই বাড়বে। এটি কোনোভাবেই গরম হাওয়া দেবে না। তাই শীতকালে বেশি তাপমাত্রায় এসি চালানো বোকামি ছাড়া আর কিছু নয়।
তবে মজার বিষয় হলো গত কয়েক বছরে বাজারে এমন কিছু এসি এসেছে যা ঘরে গ্রীষ্মকালে ঠান্ডা করে আর শীতকালে গরম করে। এই ধরনের এয়ার কন্ডিশনারগুলো একটি গরম করার পাম্প দিয়ে সজ্জিত, যা ঘরে তাপ বাড়ায়। এই ধরনের এয়ার কন্ডিশনারকে হট অ্যান্ড কোল্ড এসি (Hot and Cold AC) বলা হয়। এমন এসি যদি আপনার ঘরে থাকে তবে শীতে ঘরের উষ্ণতা বাড়াতে তা ব্যবহার করতেই পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।