লাইফস্টাইল ডেস্ক : সুস্থ থাকাকে সবচেয়ে বড় আশীর্বাদ বললে ভুল হবে না। সুস্থ থাকা ও দীর্ঘায়ু যেমন জেনেটিক্সের উপর নির্ভর করে, তেমনি খাবার ও সুস্থ জীবনধারার উপরেও এটি অনেকাংশে নির্ভরশীল। আপনি যা খাচ্ছেন তা আপনার স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পারে, ভেঙেও দিতে পারে। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কিছু সুপার ফুড অন্তর্ভুক্ত করলে বার্ধক্য ধীরে গ্রাস করবে আপনাকে। জেনে নিন কোন কোন খাবার নিয়মিত খাবেন।
১। সবুজ শাক
পালং শাককে বলা হয় সুপার ফুড। পাশাপাশি অন্যান্য সবুজ শাক ও সবজিতে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, কে, আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এসব উপকারী উপাদান হার্ট, চোখ এবং হাড় ভালো রাখে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে আমাদের সুস্থ রাখতেও সবুজ শাকসবজির গুরুত্ব অপরিসীম।
২। চর্বিযুক্ত মাছ
চর্বিযুক্ত মাছ যেমন স্যামন ও সার্ডিন রাখুন খাদ্য তালিকায়। ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় এসব মাছ থেকে। হার্ট ভালো রাখার পাশাপাশি মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ায় এই অ্যাসিড। চর্বিযুক্ত মাছ নিয়মিত খেলে হৃদরোগের কম ঝুঁকি কমে।
৩। বাদাম এবং বীজ
বাদাম এবং বীজ খান নিয়মিত। আখরোট, চিয়া বীজ এবং ফ্ল্যাক্সসিডে স্বাস্থ্যকর চর্বি, প্রোটিন, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজ মেলে। প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে হার্ট ও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখে এগুলো। সালাদ এবং দইয়ের সাথে টপিংস হিসেবে বাদাম ও বীজ খেতে পারেন।
৪। আস্ত শস্য
ওটস, লাল চাল এবং বার্লির মতো গোটা শস্য ফাইবার, ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এগুলো হজমে সহায়ক যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পাশাপাশি হৃদরোগ, ডায়াবেটিস এবং নির্দিষ্ট ক্যানসারের মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। পরিশোধিত শস্যের চেয়ে পুরো শস্য বেছে নিলে সুস্থ থাকতে পারবেন দীর্ঘদিন।
৫। হলুদ
হলুদে কারকিউমিন থাকে। এটি এমন একটি যৌগ যা শক্তিশালী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্যের জন্য পরিচিত। কারকিউমিন প্রদাহ কমাতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে এবং বয়স-সম্পর্কিত দীর্ঘস্থায়ী রোগ থেকে রক্ষা করে আমাদের।
৬। গ্রিন টি
গ্রিন টি ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে সমৃদ্ধ, যা হৃদরোগ, ক্যানসার এবং অন্যান্য দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। গ্রিন টি নিয়মিত খেলে মস্তিষ্ক ভালো থাকে এবং বিপাক ভালো হয়।
৭। দই
দই একটি প্রোবায়োটিক সমৃদ্ধ খাবার যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য এবং ইমিউন ফাংশন ভালো রাখে। প্রোবায়োটিক হলো উপকারী ব্যাকটেরিয়া যা হজমে সহায়তা করে, প্রদাহ কমায় এবং ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে।
তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।