লাইফস্টাইল ডেস্ক : পেটের মেদ অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর এবং এটি সহজে যেতেও চায় না। আমাদেরই ছোট ছোট কিছু অভ্যাসের কারণে পেটে মেদ জমে। ডায়েট মেনে চলার পরেও এই অভ্যাসগুলো বাদ না দিলে মেদভুঁড়ি থেকে রেহাই মিলবে না। যুক্তরাজ্যের কেমব্রিজের চিকিৎসক ও সহায় হেলথ এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ডা. তাসনিম জারা একটি ভিডিওতে জানান এমন কিছু অভ্যাস সম্পর্কে, যেগুলো বাদ দেওয়া ভীষণ জরুরি।
1. অনেকেই সকালের নাস্তা খান না। একবারে দুপুরের খাবার খান। এই অভ্যাস থাকলে সেটা বাদ দিন আজই। কারণ এই অভ্যাস আপনার পেটে জমিয়ে দিচ্ছে মেদ। একবেলার খাবার বাদ দিলে অপরবেলায় বেশি খাবার খাওয়া বা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যেতে পারে।
2. খাবার দ্রুত খাওয়ার অভ্যাস থাকলে সেটা আপনার পেটে মেদ জমার কারণ হতে পারে। খাবার খাওয়া শুরু করার পর যখন সেই খাবার পেটে যায়, তখন পাকস্থলী থেকে মস্তিষ্কে সংকেত পৌঁছায়। পেট ভরেছে কি ভরেনি তা বুঝতে ব্রেইনের ২০ মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। দ্রুত খাবার খেলে অতিরিক্ত খেয়ে ফেলার ঝুঁকি থাকে, কারণ পেট ভরে যাওয়ার খবরটি পাকস্থলী থেকে হয়তো খুব দ্রুত ব্রেইনে নাও পৌঁছাতে পারে। ধীরে সুস্থে চিবিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। মাইন্ডফুল ইটিং বা মনোযোগ সহকারে খাওয়ার অভ্যাস স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
3. ছোট প্লেটে খাবার খাওয়ার অভ্যাস করুন। কারণ প্লেট বড় হলে অবচেতন মনে বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যেতে পারে। ছোট প্লেটে খাবার নিন ও পরিমাণের দিকে খেয়াল রাখুন।
4. সৌজন্যবোধ থেকে বেশি খাবেন না। দাওয়াতে গেলে কেউ প্লেটে জোর করে খাবার তুলে দিলে সেটা খাওয়া হয়ে যায়। আবার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হলে ক্ষুধা না থাকলেও রেস্টুরেন্টে বসে কিছু একটা অর্ডার দিয়ে ফেলি আমরা। এই প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে। অতিরিক্ত খাবার শরীরে যেসব বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে সেগুলো মাথায় রেখে কী পরিমাণ খাবার খাবেন সেটি ঠিক করে নিন।
5. আনমনে খাবেন না। অনেক সময় আমরা টেলিভিশন দেখতে দেখতে খাই। তখন আনমনে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খাওয়া হয়ে যেতে পারে। ভাজাপোড়া, মুড়ি-চানাচুর এগুলো খেতে খেতে নাটক বা খেলা দেখার অভ্যাস থাকলে সেটাও বাদ দিন। এসব অতিরিক্ত, অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে আসে অতিরিক্ত ক্যালরি, যা থেকে শরীরে চর্বি জমার অন্যতম কারণ।
6. মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের কারণেও শরীরে মেদ জমতে পারে। আমরা যখন দিনের পর দিন মানসিক চাপে ভুগি, তখন আমাদের শরীরে ‘কর্টিসল’ নামের একটি হরমোন নিঃসরণ হয়। এই হরমোন বৃদ্ধি পেলে অতিরিক্ত চিনি বা চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগতে পারে। এতে তলপেটে বাড়ে মেদ। মেদ কমাতে তাই মানসিক চাপকে সময়মতো ও সঠিকভাবে মোকাবেলা করা গুরুত্বপূর্ণ।
7. পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবের সাথে ওজন বেড়ে যাওয়ার সংযোগ রয়েছে। রাত জেগে কাজ করার সময় খাবার হিসেবে সাধারণত ক্ষতিকর ফ্যাট বা চিনিযুক্ত খাবার, অথবা অতিরিক্ত প্রক্রিয়াজাত খাবার বেছে নেওয়া হয়। এতে মেদ বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়। আবার রাত জাগলে বাড়ে স্ট্রেস। এই স্ট্রেস আবার বিভিন্নভাবে বাড়তি ওজন এবং মেদ জমার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
8. শুয়ে বসে থেকে অলস সময় কাটানোর অভ্যাস থাকলে সেটা দ্রুত বাদ দিয়ে দিন। নিয়মিত ব্যায়ামের অভ্যাস করুন। সপ্তাহে ৫ দিন মাত্র ৩০ মিনিট করে দ্রুত হাঁটা আপনাকে ফিট রাখতে পারে। সারা সপ্তাহে মাত্র আড়াই ঘণ্টা ব্যায়াম করলে বাড়তি ওজন থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।