জুমবাংলা ডেস্ক : ছাগল নিয়ে ছবি ওঠা ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত ও তার মা শাম্মি আখতার শিবলীকে চেনেন না বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে এরমধ্যে হয়তো দেশ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত।
সম্প্রতি ছাগল নিয়ে ছবি তুলে ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাত যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করেছেন সেটি তার মা শাম্মি আখতার শিবলীর জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে তোলা। সেই পরিচয়পত্রে শাম্মি আখতারের স্বামীর নামের জায়গায় উল্লেখ আছে মতিউর রহমান। যদিও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দাবি, এটি অন্য কোনো মতিউর রহমান।
তবে ইফাতদের এক সময়ের গাড়িচালকও জানান, তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর্মকর্তা মতিউর রহমান। এদিকে গুঞ্জন উঠেছে এরমধ্যে হয়তো দেশ ছেড়েছেন মুশফিকুর রহমান ইফাত।
কোরবানির খাসির ছবি নিয়ে ভাইরাল হওয়া যুবক মুশফিকুর রহমান ইফাতের বাবা আসলে কে? কী তার নাম-পরিচয়? জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমানের দাবি ইফাত তার ছেলে তো দূরের কথা এ নামে তার কোনো আত্মীয় স্বজনও নেই। মতিউর রহমানের নামই বা আসলো কীভাবে?
এ নিয়ে মতিউর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি নিজেও আর্শ্চয হয়েছি, এমনভাবে ট্রোল হচ্ছে, যেটা আমার পরিবারে জন্য ক্ষতিকর। আমার ছেলে যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনীতি নিয়ে পড়াশোনা করে এখন দেশে আছে। কিন্তু জীবনে দামি গরু কেনা তো দূরের কথা, একটু ভিন্ন রকমের ছেলে সে। এসব কাজের কোনো প্রশ্নই ওঠে না। আপনারা খোঁজ নিলে জানবেন।
ছাগলকাণ্ডে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। মুশফিকুর রহমান ইফাত যে মোবাইল নম্বরটি ব্যবহার করেন সেটি তোলা হয়েছে তার মায়ের জাতীয় পরিচত্রপত্রের মাধ্যমে। সেখানে শাম্মী আখতারের স্বামীর নামের জায়গায় রয়েছে মতিউর রহমানের নাম। বাড়ির যে ঠিকানা ব্যবহার করা হয়েছে সেটিও ধানমন্ডি আট নম্বর সড়কের ৪১ নম্বর বাসার। আর এ বাসাতেই থাকেন ইফাত। এখন প্রশ্ন হলো শাম্মী আখতারের স্বামী কী মতিউর রহমান, যিনি রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমান? জানা যাক শাম্মী আখতারের গাড়িচালক কী বলছেন?
একসময় মুশফিকদের গাড়িচালক নয়নকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, ‘জ্বী তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য মতিউর রহমান। ধানমণ্ডির আট নম্বর সড়কের ৪১ নম্বর বাসায় আসা যাওয়া করতেন।’
এতকিছুর পরও মতিউর রহমানের দাবি ইফাত তার ছেলে নয়, শাম্মী আখতার শিবলী নামে কাউকে তিনি চেনেন না। তার সঙ্গে কয়েকদফা যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তায় জানান, জাতীয় পরিচয়পত্রে শাম্মী আখতারের স্বামীর নামের জায়গায় যে মতিউর রহমানের নাম উল্লেখ আছে তা অন্য কারও হতে পারে।
মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকেই খোঁজ নেই ইফাতের। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ। এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছেন তিনি এমন গুঞ্জনও উঠেছে। এ ঘটনার সূত্রপাত হয় ঈদের সপ্তাহ খানেক আগে। ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগল ১২ লাখ টাকায় কিনে ভাইরাল হন ইফাত নামে এক যুবক। পরে জানা যায় তার বাবা রাজস্ব কর্মকর্তা। সরকারি চাকরি করে কীভাবে এতো টাকা দামের ছাগল কিনলেন তা নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা-সমালোচনা।
তবে তথ্য মতে, এনবিআরের সদস্য মতিউর দুটি বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রীর নাম লাইলা কানিজ। যিনি বর্তমানে নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। অন্যদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান মুশফিকুর রহমান ইফাত। ফেসবুকে বাবা মতিউর রহমানের সঙ্গে ইফাতের যুগলবন্দি বেশ কয়েকটি ছবিও দেখা গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।