জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেট জেলা স্টেডিয়ামের প্রধান ফটকে হ্যান্ড মাইক দিয়ে ইফতারের আমন্ত্রণ জানিয়ে পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছিলেন এক ব্যক্তি। ডাকে সাড়া দিয়ে যানবাহনের চালকসহ অনেকেই জড়ো হন ইফতার করতে। স্টেডিয়ামের মোহাম্মদ আলী জিমনেশিয়ামে গণইফতারের এ আয়োজন করে চলেছেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন আহমদ সেলিম।
নিজ খরচে মাসব্যাপী এ আয়োজন করেন তিনি।এ আয়োজনে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার মানুষ অংশ নেন। ধনী-গরিব এক কাতারে বসে ইফতার করেন। গরুর গোশতের আখনির সঙ্গে থাকে বিশুদ্ধ পানি, পেঁয়াজু, ছোলা ও খেজুর। জিমনেশিয়ামের ভেতর বিশাল জায়গাজুড়ে পাতলা মাদুরের ওপর বসেই ইফতার করেন রোজাদাররা।
শনিবার সরেজমিন দেখা যায়, উদ্যোক্তা ব্যবসায়ী মাহি সেলিম ছাড়াও অংশ নিয়েছেন জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান, পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোক। সেলিম জানান, সাধারণ মানুষ যাতে ইফতার করতে পারেন, সে জন্য তিনি ব্যবস্থা করেছেন। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অনেকে হিমশিম খাচ্ছেন। ধনী-গরিবসহ সবাইকে ইফতার করানোতেই তাঁর তৃপ্তি।
গণইফতারে অংশ নেওয়া মদন মোহন কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র খালিদ জানান, তিনি আরেক দিন এখানে এসেছিলেন। ইফতারের মান যথেষ্ট ভালো। মাঝেমধ্যেই আসেন।
একাধিক পথচারী ও রিকশাচালক জানান, তারা মাইকে ডাক শুনে ইফতার করতে এসেছেন। স্থানীয় অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে গণইফতারে অংশ নিতে দেখা গেছে।
রোজায় প্রতিদিনের এ আয়োজনে রান্নার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন পাঁচ ব্যক্তি। ইফতার শুরুর এক ঘণ্টা আগে প্যাকেট করার কাজ শুরু হয়। মাদুরের ওপর সারিবদ্ধভাবে বসা লোকজনের হাতে ইফতারি তুলে দেন তারা। আজানের আগেই কাজটি শেষ করতে হয়। এত বিশাল আয়োজনে নেই কোনো আনুষ্ঠানিকতা। যারা আসছেন, তারাই ইফতার করছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।