জুমবাংলা ডেস্ক : স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য দিনভর সিয়াম সাধনা করেন মুসলিমরা। দিনশেষে নানা আয়োজনে ইফতার করেন। ধর্মমতে এ ইফতারেও নানান কল্যাণ নিহিত আছে।
বিত্তবান রোজাদাররা সামর্থ্যের মধ্যে তৃপ্তিকর ইফতারের আয়োজন করতে পারলেও দরিদ্র ও অসহায়দের পক্ষে তা কঠিন হয়ে পড়ে। এ দরিদ্র ও অসহায় রোজাদারদের জন্য বরাবরের মতো এবারও ইফতারের আয়োজন রয়েছে রাজধানীর বাসাবো বৌদ্ধ মন্দিরে।
প্রতিদিন দুই শতাধিক গরিব রোজাদারের মধ্যে এ ‘সম্প্রীতির ইফতার’ বিতরণ করছে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘ।
মন্দিরে গিয়ে দেখা যায়, ইফতারের প্রায় ঘণ্টাখানেক আগে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ইফতারের প্যাকেট নিচ্ছেন বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষ। ইফতার বিতরণ করছেন মন্দিরের গুরু ও বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের নেতারা।
ইফতার পেয়ে অনেকের মুখে খুশির ঝিলিক দেখা যায়। কয়েকজন নারী বলেন, তারা এ এলাকায়ই থাকেন। মাঝেমধ্যে এ মন্দির থেকে ইফতার নিয়ে যান।
জানা গেছে, ২০১৩ সালে বৌদ্ধ মহাবিহারের প্রয়াত প্রধান শুদ্ধানন্দ মহাথেরো ইফতার বিতরণ শুরু করেন। তখন থেকেই ধারাবাহিকভাবে এটি চলে আসছে। তবে করোনা মহামারির কারণে গত দু’বছর ইফতার বিতরণ বন্ধ ছিল। এখন আবার শুরু হয়েছে।
বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সাংগঠনিক সম্পাদক দেবপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, ২০১৩ সালে ইফতার কার্যক্রমটা শুরুর প্রথম দিকে ২০০ জনের মধ্যে বিতরণ করা হয়। পরে তা ৫০০ ছাড়িয়েছে। করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ ছিল। এবছর আবার হচ্ছে। এবছর প্রথম দিকে দেড়শ জনের ইফতার আয়োজন ছিল। পরে আরও ৫০ জন বাড়িয়ে ২০০ করা হয়েছে।
ইফতারের অর্থায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে সময়ে শুরু হয়েছিল তখন সিঙ্গাপুরের একজন ব্যবসায়ী অর্থায়ন করেছিলেন। তিনি আমাদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। এরপর বিদেশি আরও বন্ধুরা সহযোগিতা করেছেন। তখন আমাদের ইফতার বিতরণের সংখ্যাও বাড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে বর্তমানে কোনো সহায়তা নেই। যারা আগে সহায়তা করেছেন, সেসব বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু আমরাই মন্দিরের নিজস্ব তহবিল থেকে অর্থায়নে এ কাজ পরিচালনা করছি।
এছাড়া প্রতিজনের ইফতারের পেছনে ৫০ টাকা বাজেট থাকে বলেও জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।