জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্ব ইজতেমা মাঠ দখলকে কেন্দ্র করে যোবায়ের ও সাদপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষে নিহত তিনজনের পরিচয় মিলেছে। সেইসঙ্গে ময়দান ও সড়ক-মহাসড়কে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান নিয়েছেন।
সংঘর্ষে নিহতরা হলেন কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের আমিনুল ইসলাম বাচ্চু মিয়া (৭০)। ঢাকার দক্ষিণ খানের বেড়াইদ এলাকার আব্দুস সামাদের ছেলে বেলাল হোসেন (৬০), আরেকজন হলেন বগুড়া জেলার তাজুল ইসলাম (৭০)।
এদিকে আজ সকাল ৮ টায় টঙ্গী ইজতেমা ময়দানে জিএমপির কমিশনার ড. নাজমুল করীম খান ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ময়দানে প্রবেশ করেন। তারা ময়দানে ঢুকে টিনসেড মসজিদে আটকা পড়া বেশ কয়েকজন যোবায়ের পন্থীকে উদ্ধার করে।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে নিহত ও আহতদের সংবাদ নিশ্চিত করে বলেছেন, এ পর্যন্ত একজন নিহত ও অসংখ্য লোক আহত হয়েছে। আহতরা হাসপাতালে আসছে।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক আশরাফুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে জানান, ঢাকায় নেওয়ার পথে বেলাল নামের একজন মারা গেছেন। তার বাড়ি ঢাকার বেড়াইদ।
সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী মোহাম্মদ সায়েম বগুড়ার নিহত তাজুল ইসলাম ও বেলাল হোসেন তাদের সাথী ও যোবায়ের পন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়কারী হাবিবুল্লাহ রায়হান আমিনুল ইসলাম বাচ্চু তাদের সাথী বলে কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন।
সকাল সাড়ে ৯ টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ময়দান শান্তিপূর্ণ ছিল। ইজতেমা ময়দানের ভেতরে সাদপন্থীরা অবস্থান করছেন। ময়দান ঘিরে ও সড়ক মহাসড়কে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।