আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বর্ষার মরসুম শুরু হতেই মৎস্যজীবীদের জালে উঠতে শুরু করেছে নামিদামি সব মাছ। এই বছর ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর পূর্ব মেদিনীপুর এবং দীঘা থেকে প্রায় সাড়ে সাত হাজার ট্রলার পাড়ি দিয়েছে সমুদ্রে। সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া সেই সকল ট্রলার মহাসমুদ্র থেকে ফিরতেই আসছে সব নামিদামি মাছ। সেই রকমই রবিবার একটি বিশাল তেলিয়া ভোলা উঠেছে মৎস্যজীবীদের জালে।
চলতি মরশুমে দিঘায় গত কয়েকদিন ধরেই দফায় দফায় টন টন ইলিশ মাছ উঠতে দেখা যাচ্ছে। টন টন ইলিশ মাছ ওঠার কারণে স্বাভাবিকভাবেই মৎস্যজীবীদের মধ্যে বইছে খুশির হাওয়া। তবে এই খুশির হাওয়া আরও কয়েকগুণ বৃদ্ধি করে দেয় রবিবার। কেননা ঐদিন একটি হলেও বিশাল তেলিয়া ভোলা উঠে এক মৎস্যজীবীর জালে। সেই মাছটি আনা হয় দীঘার মোহনায় থাকা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে।
ব্যান পিরিয়ড উঠে যাওয়ার পর গত কয়েকদিন ধরে দীঘায় একের পর এক নামিদামি মাছ উঠতে দেখা গিয়েছে। প্রথম দফায় বেশ কয়েকটি মাঝারি ধরনের তেলিয়া ভোলা মাছ ওঠে। এরপর আবার একটি ৭০ কিলো ওজনের শঙ্কর মাছ উঠতে দেখা যায়। শুক্রবার আবার জালে ওঠে একটি ৬ কুইন্টালের হাঙ্গর। এসবের মধ্যেই রবিবার যে তেলিয়া ভোলা মাছটি পাওয়া যায় তার ওজন হয় ২৩ কিলো।
২৩ কেজি ওজনের তেলিয়া ভোলা মাছটি দীঘায় থাকা মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে আনার পর নিলামে সেটি দু’লক্ষ টাকায় বিক্রি হয়। একটি মাছ বিক্রি করেই যখন দু’লক্ষ টাকা মৎস্যজীবীর পকেটে ঢুকছে সেই সময় তার থেকে আর খুশির খবর আর কিছু হতে পারে না। এই বিশাল তেলিয়া ভোলা মাছটি দু’লক্ষ টাকা দিয়ে কিনে নেন কলকাতার একটি মৎস্য বিক্রেতা সংস্থা।
জানা গিয়েছে, ২৩ কেজি ওজনের ওই তেলিয়া ভোলা মাছটি স্ত্রী মাছ ছিল। স্ত্রী মাছ থাকার কারণে দাম তুলনামূলক কম মিলেছে। কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে, স্ত্রী তেলিয়া ভোলা মাছে পটকার আকৃতি কম হয়। তবে সেই যাইহোক একটি মাছ বিক্রি করেই দু’লক্ষ টাকা পাওয়ার ফলে খুশি ওই মৎস্যজীবী যার জালে এমন বিশাল তেলিয়া ভোলাটি উঠেছিল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।