জুমবাংলা ডেস্ক : কয়েক দিনের টানা বৃষ্টির পর ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া নদীতে মিলেছে কাঙ্ক্ষিত ইলিশ। খুশি জেলেরা; মোকামেও বেড়েছে ব্যস্ততা। তবে আকাল কাটিয়ে যখন মাছঘাটে কর্মচাঞ্চল্য, তখনই মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞায় দুশ্চিন্তা ভর করেছে জেলেপল্লিতে। আর নদীতে কিছুটা দেরিতে ইলিশের দেখা মিললেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদী মৎস্য বিভাগ।
আষাঢ় মাস থেকে মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীতে ইলিশের মৌসুম শুরু হলেও এবারের চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। চলতি মৌসুমের প্রথম তিন মাস জেলেরা কাঙ্ক্ষিত ইলিশ থেকে বঞ্চিত ছিল। এই দীর্ঘসময় ইলিশের আশায় নদীতে গিয়ে আয়ের পরিবর্তে বেড়েছে মহাজনের দাদনের পরিমাণ।
তবে গত পূর্ণিমার জোয়ার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি তারা। ইলিশ বোঝাই করে ঘাটে ফিরছে ট্রলার। বেচাকেনায় সরগরম ঘাটগুলো। শেষ মৌসুমে ইলিশের দেখা মিললেও দাম কমেনি মোটেও।
এদিকে শেষ মৌসুমে ধরা ইলিশে ধারদেনা পরিশোধ ও ব্যবসায়ীদের পুঁজি হারানোর শঙ্কা কিছুটা কমলেও, হতাশা তৈরি হয়েছে আগামী ৭ অক্টোবর থেকে আবারও শুরু হচ্ছে মা ইলিশ রক্ষায় নিষেধাজ্ঞা।
পানির গভীরতা ও বৃষ্টির কারণে নদীতে ইলিশ বেড়েছে। এতে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পাশাপাশি জেলেদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার বিষয়ে আশাবাদী মৎস্য বিভাগ।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদুল্যাহ বলেন, এবার নিষেধাজ্ঞা থাকায় ইলিশের সংখ্যা বেড়েছে। তাই মা ইলিশ রক্ষায় আবারও শুরু হচ্ছে নিষেধাজ্ঞা। এতে সামনে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে। সাময়িক ক্ষতি হলেও পরবর্তী সময়ে জেলেরা বেশি লাভবান হবেন।
স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে মালালা ইউসুফজাইয়ের সঙ্গে ‘গোলগাপ্পা’ খেলেন প্রিয়াঙ্কা
এ ছাড়া নিষেধাজ্ঞা চলাকালে জেলেদের ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেও আশ্বাস জেলা মৎস্য কর্মকর্তার। চলতি বছর জেলায় ইলিশ আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৯৫ হাজার মেট্রিক টন। আর মৌসুমের প্রথম তিন মাসে ধরা পড়েছে প্রায় সাড়ে ৫৫ হাজার মেট্রিক টন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।