Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home ‘ইলিশকে তো আর খৈল-ভুসি কিনে খাওয়ানো হয় না, দাম এত কেন?’
জাতীয়

‘ইলিশকে তো আর খৈল-ভুসি কিনে খাওয়ানো হয় না, দাম এত কেন?’

Shamim RezaSeptember 6, 20244 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক : চাঁদপুর ভরা মৌসুমেও দেখা মিলছে না ইলিশের। সরবরাহ কম থাকায় কর্মমুখর মাছঘাট দিন দিন নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। গত ৫/৬ বছর আগেও ইলিশ খ্যাত জেলা চাঁদপুর মাছঘাটে ইলিশ সরবরাহ বেশি থাকায় ব্যবসায়ী ও শ্রমিকদের বেচা-কেনা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো। কিন্তু বর্তমান চিত্র একেবারেই ভিন্ন। ইলিশ ভোজনরসিকরাও দাম নিয়ে অনেকটা বিরক্ত।

Ilish

মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি পেলেও বাস্তবতায় দর-দামে তার কোনো ধরণের প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দূর-দূরান্ত থেকে আসা ক্রেতা সাধারণও ইলিশের দরদামের হিসাব মিলাতে পারছেন না।

নুর মোহাম্মদ নামের পঞ্চাশোর্ধ এই শ্রমিক জেলার বৃহৎ চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে জীবনের দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করছেন। ট্রলার থেকে মাছ নামানো এবং তা বিভিন্ন স্থানে পাঠানোর জন্য ককশিটে প্যাকেটজাত করা নিয়ে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হতো। কিন্তু আগের সেই ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছেন তিনি। নুর মোহাম্মদ জানান, আগে ঘাটে প্রচুর ট্রলারে করে ইলিশ আসতো। এখন আর সেই ইলিশের দেখা মিলছে না।

তিনি আরও বলেন, আগে ঘাটে প্রতিদিন একজন শ্রমিক ৫/৬শ’ টাকা আয়ের পাশাপাশি ২/৩টা করে ইলিশ পেত। কিন্তু ইলিশ সরবরাহ কম থাকায় শ্রমিকের জন্য বরাদ্দকৃত ইলিশের আর দেখা মিলছে না। যেই মজুরিও পাওয়া যাচ্ছে না, তা দিয়ে পরিবার-পরিজন চালাতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে।

নুর ইসলাম বকাউল নামের অপর শ্রমিক জানান, ঘাটে শ্রমিকের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে। ১০/১২ বছর আগে জেলার এই বৃহৎ মৎস্য আড়তে প্রায় তিনশ’র মতো শ্রমিক কর্মরত ছিলো। বর্তমানে তা অর্ধেকে এসে ঠেকেছে। এভাবে চলতে থাকলে এই পেশা থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেয়া ছাড়া অন্য কোনো পথ দেখতে পারছি না।

জেলে সোলেমান ও আলমগীর জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম যাচ্ছে। নদীতে কিছুটা ইলিশ কম পাওয়া গেলেও আড়তে দাম বেশি। আমাদের কাছ থেকে ইলিশ কিনে সেটি নিলামে দাম তুলে আরও বেশি দামে বিক্রি হয়। এরপর কয়েক হাত রদবদল হয়। যর কারণে দাম বৃদ্ধি।

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল বারী জমাদার মানিক আক্ষেপ করে বলেন, ঘাট ঘেঁষা যেই পন্টুনটি রয়েছে, সেদিকে তাকালেই বুঝা ইলিশের বর্তমান চিত্র। এখানে প্রচুর ট্রলার ইলিশ নিয়ে ভিড়তো। আমরা অবসর থাকাটা ছিল কষ্টসাধ্য! কিন্তু এখন সরবরাহ কম থাকায় ঘাটে ট্রলার ভিড়ছে কম।

তথ্য মতে, চাঁদপুরে বর্তমানে ১ কেজি বা তার চেয়ে বেশি পরিমাপের ইলিশ ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর দেড় কেজি পরিমাপের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ থেকে ২১০০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ৮শ’ থেকে ৯শ’ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৩০০ থেকে ১৪০০ টাকা কেজি দরে।

মৎস্য ব্যবসায়ী মানিক জানান, সম্প্রতি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধের ঘোষণা দেয়া হলেও বাস্তবে দরদামে তেমন একটা প্রভাব পড়েনি। কারণ ভারতে বিশেষ করে পূজাপার্বণে বিগত দিনে কিছু ইলিশ পাঠানো হতো। কিন্তু এখন নিজ দেশেই তো ইলিশের দেখা মিলছে কম।

ইলিশ ব্যবসায়ী নবীর হোসেন জানান, মাছঘাটে কয়েকদিন ধরে প্রচুর ক্রেতা আসছে। আগের তুলনায় ইলিশ সরবরাহ বেড়েছে, কিন্তু দাম কমেনি। দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রায়ই বাকবিতন্ডা হয়। মাছের তুলনায় ক্রেতা বেশি, যার কারণে দামও বেশি।

কুমিল্লা থেকে ইলিশ কিনতে আসা আবুল কালাম জানান, ইলিশের বাড়ি খ্যাত চাঁদপুর মাছ ঘাটে এসেছি কম দামে ইলিশ কিনতে। কিন্তু এখানে এসে দেখি ভিন্ন চিত্র। ইলিশের দাম অনেক বেশি। এক কেজি ওজনের ইলিশ ১৭০০ টাকা চায়। কি কারণে ইলিশের দাম এত বেশি বুঝতে পারছি না। ইলিশ মাছকে তো আরও বাজার থেকে কিনে খৈল-ভুসি খাওয়াতে হয় না। দাম এত কেন?

চাঁদপুর মৎস্য বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শবে বরাত সরকার জানান, দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতিদিন হাজারো পর্যটক ও ক্রেতা আসে ইলিশ কিনতে। সরবরাহ কম, আবার চাহিদা বেশি থাকে তাহলে দাম এমনেই বেড়ে যায়। আশা করছি সামনে সরবরাহ বাড়লে দামও কমবে।

মেসার্স মিজানুর রহমান ভুঁইয়া আড়তের ম্যানেজার ওমর ফারুক জানান, গত বছর এ সময় দেড় থেকে দুই হাজার মণ ইলিশ আমদানি হয়েছে। এবার আমদানি কমেছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০০ থেকে ৭০০ মণ ইলিশ বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, ইলিশ পরিভ্রমণশীল। একসময় নদীতে বিচরণ থাকে তাদের আবার সাগরে চলে যায়। বিশেষ করে ডিম ছাড়ার সময় মিঠা পানিতে ইলিশ বিচরণ বেড়ে যায়। মৎস্য বিভাগ সব সময়ই জাটকা রক্ষা ও ইলিশের প্রজনন নিশ্চিত করতে কাজ করছে।

তথ্য মতে, গত ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে জেলার মাছের চাহিদা ছিল ৬৮ হাজার ৪৬৬ মেট্টিক টন। উৎপাদন হয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৯০.৬২ মেট্টিক টন এবং উদ্বৃত্ত ছিল ৪৭ হাজার ৬২৪.৬২ মেট্টিক টন। একই অর্থবছরে শুধুমাত্র ইলিশ উৎপাদন হয়েছে ৩৪ হাজার ৩২৬ মেট্টিক টন। চাঁদপুর জেলায় নিবন্ধিত মৎস্যজীবীর (জেলে) সংখ্যা হচ্ছে ৪৭ হাজার ২৪৯ জন।

বাজার কাঁপানো সেরা ৫টি ফাইভজি স্মার্টফোন, রইল ফিচার ও দাম

চাঁদপুর সদর উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. তানজিমুল ইসলাম জানান, চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় বছর জুড়েই জেলেরা ইলিশ পান। এখন ভরা মৌসুম হলেও সামনে ইলিশের আরও বেশি ধরা পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। হতাশ হওয়ার কিছু নেই।

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
‘ইলিশকে ‘জাতীয় আর ইলিশ এত কিনে কেন খাওয়ানো খৈল-ভুসি তো? দাম, না হয়,
Related Posts
Manikganj

গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের মাসে ৮ লাখ টাকা চাঁদাবাজি!

December 14, 2025
Hadi

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবীসহ আটক ৩

December 14, 2025
ওসমান হাদি

গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে যে দেশে নেওয়া হচ্ছে

December 14, 2025
Latest News
Manikganj

গোলড়া হাইওয়ে পুলিশের মাসে ৮ লাখ টাকা চাঁদাবাজি!

Hadi

হাদিকে হত্যাচেষ্টা: মূল অভিযুক্ত ফয়সালের স্ত্রী, বান্ধবীসহ আটক ৩

ওসমান হাদি

গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে যে দেশে নেওয়া হচ্ছে

Hadi ka guli

হাদিকে গুলি, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন গ্রেপ্তার হওয়া হান্নান

নিকুঞ্জে মাদকের ভয়াবহ দাপট : ধ্বংসের পথে তরুণ প্রজন্ম

Hadi er

হাদির ওপর হামলাকারীরা পালায়নি, দাবি জুমার

হাদি

হাদির অবস্থা আশঙ্কাজনক, আরও যা জানিয়েছে মেডিকেল বোর্ড

Hadi

হাদি হত্যাচেষ্টা, সেই দাউদকে নিয়ে ফাঁস হলো আঁতকে ওঠার মতো তথ্য

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা

ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব

Osman

ওসমান হাদিকে নিয়ে ‘দুঃসংবাদ’ দিলো মেডিকেল বোর্ড

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.