‘ইলিশ’ ভেবে উচ্চমূল্যে ‘সার্ডিন’ খাচ্ছেন না তো?

লাইফস্টাইল ডেস্ক : বাজারে গিয়ে ইলিশ কিনছেন ভেবে অনেক সময় আমরা প্রতারিত হচ্ছি। কারণ, অসাধু কিছু ব্যবসায়ী ইলিশ মাছের মতো দেখতে সার্ডিন মাছকে ইলিশ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। ফলে উচ্চমূল্যে ভেজাল মাছ কিনে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।

তাই আসল ইলিশ ও সার্ডিন মাছ চেনার উপায় জানা জরুরি। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ পার্থক্য তুলে ধরা হলো—

ইলিশ ও সার্ডিন চেনার সহজ উপায়:

দেহের গঠন:
সার্ডিনের দেহ পার্শ্বীয়ভাবে পুরু ও পেটের দিকটা বেশি চ্যাপ্টা, আর ইলিশের পেট ও পিঠ সমানভাবে উত্তল।

আকার ও দৈর্ঘ্য:
সার্ডিন সাধারণত ৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার হয়, অন্যদিকে ইলিশের দৈর্ঘ্য হতে পারে ৭৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত।

মাথার গঠন:
সার্ডিনের মাথা ছোট ও ভোতা, ইলিশের মাথা লম্বাটে ও অগ্রভাগ সূচালো।

চোখের আকার:
সার্ডিনের চোখ বড়, ইলিশের চোখ তুলনামূলকভাবে ছোট।

পাখনার রঙ ও দাগ:
সার্ডিনের পাখনার কিনারা ঘোলাটে, ইলিশের পাখনার কিনারা অনেকটা সাদাটে।
সার্ডিনের পৃষ্ঠীয় পাখনায় একটি কালো ফোঁটা থাকে। আর ইলিশের কানকুয়ার পরে বড় কালো ফোঁটা এবং আরও অনেক ছোট ছোট ফোঁটা দেখা যায়।

আইশের সংখ্যা:
সার্ডিনের পার্শ্বরেখা বরাবর আইশ থাকে ৪০-৪৮টি। ইলিশের ক্ষেত্রে ৪০-৫০টি।

স্কুইটস বা কিল বোন:
সার্ডিনে ২৯-৩৪টি, ইলিশে ৩০-৩৩টি স্কুইটস থাকে।

মাথার দৈর্ঘ্য অনুপাতে:
সার্ডিনে মাথার দৈর্ঘ্য দেহের ২২-৩২%, ইলিশে ২৮-৩২%।

ছবিটি জুম করে দেখুন, এটি আপনার মস্তিষ্ক নিয়ে খেলবে

কেন সতর্ক হবেন?

ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। এর স্বাদ, পুষ্টি ও মূল্য অনেক বেশি। তাই ভুল করে সার্ডিন কিনে ফেলে শুধু অর্থের ক্ষতি নয়, স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই মাছ কেনার সময় এসব বৈশিষ্ট্য যাচাই করে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ।