জুমবাংলা ডেস্ক : মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে পাটকাঠির ছাই থেকে কার্বন তৈরির কারখানা (চারকোল কারখানা)।
অবৈধ এই চারকোল কারখানার কালোধোঁয়া ও ছাই এ মারাত্মকভাবে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এর প্রভাব পড়ছে মানুষ ও কৃষি ফসলে। কাঠ বা পাটকাঠি পোড়ানো ছাই বা ধোয়ায় শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা ও হাঁপানি সহ ক্যানসারের মত ভয়াবহ রোগ হতে পারে এবং ছাই ফসলের উপর পড়ে ফসলের খাদ্য উৎপাদনে ব্যাহত করছে জানান, সংশ্লিষ্ট জেলা কর্মকর্তারা।
এলাকাবাসী দ্রুত এ সমস্যার সমাধান চান। মির্জা ফকরুল, মির্জা গালিব হোসেন ইমন, মো. উজ্জ্বল সহ এলাকার অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কারখানায় পাটকাঠি পোড়ানোর সময় প্রচুর ধোঁয়া হয়। ধোঁয়ার কারণে জানালা-দরজা খোলা যায় না। এলাকার মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না। ছাই ও ধোঁয়ায় শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা, হাঁপানিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাছাড়াও ফলমুল ও কৃষি ফসলের উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
তারা আরও জানায়, এ অবৈধ কারখানা বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে এলাকাবাসীর উপর নেমে আসে প্রভাবশালী মহলের নানা রকম হুমকি। এই ছাই থেকে কার্বন তৈরির কারখানা (চারকোল কারকানা) বন্ধের দাবিতে ভুক্তভোগী গ্রামবাসীদের ব্যানারে মানববন্ধন করা হলেও হয়নি কোন সুরাহা।
কারখানার শ্রমিক ইউসুফ মোল্যা, মো. জালাল বিশ্বাস ও সাইফুল আহমেদ জানান, মুখে মাস্ক ও নাক মুখ বেধে কাজ করলে কোন সমস্যা হয় না।
জেলা সিভিল সার্জন শামীম কবীর জানান, কাঠ বা পাট পোড়ানো ছাই বা ধোঁয়ায় মানুষের শ্বাসতন্ত্রে যেয়ে ক্যানসারের মত ভয়াবহ রোগ ঘটাতে পারে।
জেলা খামারবাড়ী উপ পরিচালক মো. ইয়িাসিন আলী বলেন, ছাই কারখানার ছাই ফসলের উপর পড়ে ফসলের খাদ্য উৎপাদনে ব্যাহত করে। এ আর এন্টারপ্রাইজ গ্লোবাল কার্বন এর ম্যানেজার বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তর লিখিত অনুমোদন না দিলেও মৌখিকভাবে কারখানা চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শোয়াইব মোহাম্মদ শোয়েব বলেন, নাকোল গ্লোবাল কার্বন এন্টারপ্রাইজ, ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করেছে দু’ বছর আগে। তা এখন যাচাই বাছাই প্রক্রিয়ায় রয়েছে। নিয়ম মেনে চললে তবেই ছাড়পত্র মিলবে। জেলায় প্রায় পাঁচটি ছাই কারখানা রয়েছে যার কোনটার ছাড়পত্র নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।