সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : হেমন্তের শুরু থেকেই জমিতে বিভিন্ন সবজি ও ফসল উৎপাদনে চাষাবাদ শুরু করেছে মানিকগঞ্জে কৃষকরা। চাষাবাদের শুরু হওয়ার পর থেকে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে সারের চাহিদা। সারের দাম ও কৃষকের চাহিদার বিষয়টিকে গরুত্ব দিয়ে ভর্তুকি মূল্যে সার সরবরাহ নিশ্চিত করতে সরকারিভাবে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও কিছু অসাধু সার ব্যবসায়ীর কারণে বিফলে যেতে বসেছে মহান এই উদ্যোগটি।
সার বিক্রয়ের সরকারি লাইসেন্স না থাকলেও চোরাই পথে সার কিনে সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অধিক দামে সার বিক্রি করছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, মানিকগঞ্জ সদর উপজেলাতেই লাইসেন্সবিহীন অসাধু সার ব্যবসায়ীর সংখ্যা ১৩ জন। অবৈধভাবে সার বিক্রি বন্ধে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে এসব ব্যবসায়ীদের মৌখিক ও লিখিতভাবে অনুরোধ জানিয়েও বন্ধ করা যায়নি সার নিয়ে তাদের কারসাজি। অপরদিকে, জেলার অন্যান্য উপজেলাতেও রয়েছে লাইসেন্সবিহীন অনেক সার ব্যবসায়ী। কৃষকের সারের চাহিদা বৃদ্ধির কারণে দৌরাত্ম্য বেড়েছে এসব অসাধু ব্যবসায়ীদের।
সরেজমিনে মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ইউরিয়া সার ১৩৫০ টাকায়, টিএসপি সার ১৩৫০ টাকা, ১০৫০ টাকার ডিএপি সারের দাম বাড়িয়ে ১৩০০ টাকা থেকে ১৪০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার এমওপি সারের দাম বাড়িয়ে ১৩০০ থেকে ১৩৫০ টাকায় বিক্রি করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা। কোন কোন ব্যবসায়ীরা সারের দাম ঠিক রাখলেও কৃষকদের অতিরিক্ত কীটনাশক ও ওষুধ ধরিয়ে দেয়া হচ্ছে। এছাড়া, সার ও কীটনাশন বিক্রিতে ক্যাশ মেমো দেয়া হচ্ছে না কৃষকদের।
কৃষকরা জানান, সবাই জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষাবাদ শুরু হওয়ার কারণে সারের চাহিদা বেড়েছে। দোকনদাররা যে দাম বলছে সেই দামেই সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
লাইসেন্সবিহীন সার বিক্রেতা আব্দুর রহমান ও আমিনুল ইসলামের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা বলেন, কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের মূল ডিলার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইসরাফিল হোসেন। তার কাছ থেকে সার নিয়ে কৃষকদের নিকট বিক্রি করেন তারা।
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কৃষি অফিসে গিয়ে কৃষি অফিসার ইমতিয়াজ আলমকে পাওয়া যায়নি। তবে, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. রবীআহ নূর আহমেদ বলেন, ইতোমধ্যে এসব অবৈধ সার বিক্রেতাদেরকে নোটিশ করা হয়েছে। এরপরও তারা সার বিক্রি বন্ধ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।