সাইফুল ইসলাম, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার তেওতা ইউনিয়নের মুন্সিগান্দি মৌজার যমুনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি প্রভাবশালী চক্র।
এতে নদীর পার্শ্ববর্তী চরপয়লা গ্রামের অন্তত আড়াইশো পরিবার চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, সাত শতাধিক মানুষের বসতভিটা এখন নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিন ভোররাত থেকে সকাল ৭টা বা ৮টা পর্যন্ত ড্রেজার ও কাটার মেশিন ব্যবহার করে বালু তোলা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে পানি বৃদ্ধির ফলে এমনিতেই ভাঙন দেখা দিয়েছে। তার ওপর বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পাড় আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।
এলাকাবাসীর পক্ষে চরপয়লা গ্রামের বাসিন্দা মো. সিদ্দিক মিয়া গত ৮ জুলাই জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন, “আমাদের বাড়িঘরের একেবারে কাছ থেকে বালু তোলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীতে চলে যাবে।”
অভিযোগে বলা হয়, সরকারিভাবে যমুনার রাহাতপুর এলাকায় বালু উত্তোলনের ইজারা থাকলেও সংশ্লিষ্ট চক্রটি সেটি না মেনে মুন্সিগান্দি মৌজার অংশে ড্রেজার বসিয়ে বালু তুলছে। প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে দীর্ঘদিন ধরে এই কার্যক্রম চলছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, এ নিয়ে প্রতিবাদ জানালে চক্রটির সদস্যরা ভয়ভীতি দেখায়। নানাভাবে হয়রানি করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বাসিন্দা বলেন, “আমরা কিছু বললেই তারা হুমকি দেয়। রাজনৈতিক ছত্রচ্ছায়ায় তারা অনেক শক্তিশালী, আমরা অসহায়।”
বালু উত্তোলনের ফলে একদিকে যেমন সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে চরপয়লার মতো নিম্নআয়ের মানুষজন নিঃস্ব হওয়ার মুখে পড়েছেন। স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে পুরো গ্রাম নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. মো. মানোয়ার হোসেন মোল্লার সরকারি নম্বর ও হোয়াটসঅ্যাপে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও কোনো সাড়া মেলেনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।