লাইফস্টাইল ডেস্ক : জীবনে চলার পথে বিভিন্ন কারণে বিষণ্ণতা ঘিরে ধরতে পারে, থমকে যেতে পারে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। হতাশার এই সময়ে সঠিক দিকনির্দেশনা সাহায্য করতে পারে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। বাংলা ট্রিবিউনের নিয়মিত আয়োজনে আপনার মনের কথাগুলো শুনে প্রতি শনিবার পরামর্শ দেবেন মনোরোগ চিকিৎসক আতিকুল হক।
প্রশ্ন: আমি একটি মিথ্যার জগতে বসবাস করি। আমার বয়স ২৫ বছর। প্রয়োজন ছাড়া মিথ্যা বলা কিংবা ভুলভাবে নিজেকে উপস্থাপন করার অভ্যাস আমার একেবারে ছোটবেলা থেকে। কল্পনায় দেখি যে আমি অনেক সাফল্য পাচ্ছি। এই কল্পনাকে একসময় আমার সত্যি মনে হয়। যেমন স্টেজে উঠতে আমার ভয় অনেক, অনেক মানুষের সামনে দাঁড়ালে অস্থির বোধ হয়। তবে কলেজ থেকে বাসায় ফিরে এক সময় আমি সবাইকে বলতাম কীভাবে স্টেজে উঠে আমি গান গেয়ে সবাইকে অবাক করে দিয়েছি, যা পুরোপুরি মিথ্যা। এমন মিথ্যার বেড়াজালে আমি নিজেকে আটকে ফেলেছি। কীভাবে বের হবো এখান থেকে?
উত্তর: আপনি আপনার মিথ্যার জগতে বসবাস করলে এ ব্যপারে সত্য বলতে পারতেন না। সুতরাং আপনি মোটেও মিথ্যার জগতে বসবাস করছেন না। মিথ্যার জগতে বসবাস করার ব্যাপারে আপনার মন্তব্য মিথ্যাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, কোনোটাই দোষণীয় নয়। আমাদের সীমাবদ্ধ মস্তিষ্ক পারিপার্শিক জগৎ সম্পর্কে সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারে না। ফলে জগৎ সম্পর্কে সে একটা অস্পষ্ট ধারণা তৈরি করে তার তার অটোপাইলটকে আশ্বস্ত করে যেন জগতে সে টিকে থাকতে পারে। এই অটোপাইলট হলো আমাদের সচেতনতা, ইগো, আমিত্ব বা কনশাস অ্যাওয়ারনেস। সুতরাং আমদের সব উপলদ্ধি, বিশ্বাস, এবং বাস্তবতার অনুভূতি হলো ইলিউশন বা মরীচিকা। সেই প্রেক্ষাপটে আপনি সত্যিই যদি মিথ্যার জগতে বাস করেন, তাহলে বলতে হবে, আপনার মেটাকগনিটিভ স্কিল অত্যন্ত বেশী। আমরা প্রতিটি মানুষ বিজ্ঞানসম্মতভাবে মিথ্যার (ডিসিপশন) জগতে বসবাস করি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষই তা জানে না। আমাদের মস্তিষ্ক বিবর্তিত হয়েছে অনিবার্যভাবে মিথ্যা বলার উপযোগী হয়েই।
প্রশ্ন: আমি বিবাহিত হয়েও অন্য নারীর প্রেমে পড়েছি। আমাদের বিয়ের বয়স সাত বছর, স্ত্রী যথেষ্ট সাপোর্টিভ। এমন না যে স্ত্রীকে আমি ভালোবাসি না, কিন্তু তারপরেও অন্য নারীর প্রতি দুর্বল হয়ে পড়েছি। আমাদের দুই বছর বয়সী একটি সন্তান আছে। কেন আমার জীবনে এমন হলো আমি জানি না। প্রচণ্ড অস্থিরতায় দিন কাটছে। যাকে ভালোবাসি সে আমাকে বিয়ে করতে চায়। তবে আমি কিছুতেই স্ত্রীকে ডিভোর্স দেওয়ার কথা ভাবতে পারছি না।
‘অ্যানিম্যাল’-এর সংলাপে হোঁচট খেলেন রশ্মিকা! কটাক্ষের শিকার এই অভিনেত্রী
উত্তর: আপনি স্ত্রীকে পুরোপুরি ভালোবাসলে অন্য নারীতে আকৃষ্ট হতেন না। কোনও কিছুতে নিশ্চয় অভাব থেকে গিয়েছিল আপনাদের সম্পর্কে। সে অভাবের জায়গা খুঁজে বের করুন। যদি সেটা পূরণ করা সম্ভব না হয়, তবে সেটা স্ত্রীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনা করে সিদ্ধান্তে আসুন। নির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে না আসলে এই অস্থিরতা কাটবে না, উপরন্তু ক্ষতিগ্রস্ত হবে আরও দুজন মানুষ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।