জুমবাংলা ডেস্ক : ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচার প্রেরণ করে বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তার নিকট থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের ১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ (দক্ষিণ)।
গ্রেপ্তারকৃতের নাম কোরবান আলী সিকদার। এসময় তার হেফাজত থেকে ৩টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
ডিবি সাইবারের ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান জানান, শ্যামপুর থানায় রুজুকৃত মামলা তদন্তকালে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গত সোমবার (২৭ মার্চ) কুষ্টিয়া জেলায় অভিযান চালিয়ে সিসিটিভি সার্ভিসিংয়ের নকল ভাউচার বিল ব্যাংকের অফিসিয়াল মেইলে প্রেরণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের কোরবানকে গ্রেফতার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আসামী কোরবান আলী সিকদার ব্যাংকের ওয়েবসাইট থেকে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ই-মেইল আইডি, টেলিফোন নাম্বার ও মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করতো। পরবর্তীতে স্মার্ট সলিউশন নামক প্রতিষ্ঠানের প্যাড ব্যবহার করে তাতে বিভিন্ন ব্যাংকের বাৎসরিক সিসি ক্যামেরা সার্ভিসিং এবং প্রিন্টারের টোনার সরবরাহ বাবদ নকল বিল-ভাউচার তৈরি করে ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার অফিসিয়াল ইমেইল আইডিতে মেইল করতো।
উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, পরবর্তীতে আসামী নিজেই ব্যাংকের ম্যানেজারের সাথে বিভিন্ন আইপি ফোনের নাম্বার হতে ফোন দিয়ে ই-মেইলে বাৎসরিক সিসি ক্যামেরা সার্ভিসিং ও প্রিন্টারের টোনার সরবরাহের বিল-ভাউচারের মেইল দেওয়ার কথা বলতো এবং বিলটি দ্রুত পরিশোধের জন্য অনুরোধ করতো। ব্যাংকের ম্যানেজারের বিশ্বাস স্থাপনের জন্য ব্যাংক ম্যানেজারের ল্যান্ড ফোনে আসামী বিভিন্ন নম্বর থেকে কল করতো।
এই কর্মকর্তা বলেন, ব্যাংকের হেড অফিসের এজিএম পরিচয় দিয়ে নগদ/বিকাশ/রকেটে (ভাউচারে বর্ণিত পেমেন্ট নম্বরে) বিলটি দ্রুত পরিশোধের জন্য নির্দেশ প্রদান করে। ব্যাংকের ম্যানেজারের অধিকতর বিশ্বাস স্থাপনের জন্য পুনরায় আসামী এজিএমের পরিচয় দিয়ে ল্যান্ড ফোনে বিভিন্ন নম্বর হতে কল করে বিলটি ব্যাংকের কোন খাত থেকে কীভাবে পরিশোধ করতে হবে সে বিষয়ে বিশদ বর্ণনা করে নিট পেমেন্ট দ্রুত পরিশোধের জন্য বলে। ব্যাংকের ম্যানেজার বিষয়টি বিশ্বাস করে চাহিদার সমপরিমাণ টাকা আসামীর দেওয়া নগদ/বিকাশ/রকেটে (ভাউচারে বর্ণিত পেমেন্ট নম্বরে) বিলটি পরিশোধ করেন।
এভাবে টাকা পাঠিয়ে দিয়ে জনতা ব্যাংক লিঃ, যমুনা ব্যাংক লিঃ, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিঃ, আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিঃ, পূবালী ব্যাংক লিঃ, বেসিক ব্যাংক লিঃ, রুপালী ব্যাংক লিঃ, অগ্রণী ব্যাংক লিঃ, প্রিমিয়ার ব্যাংক লিঃ-এর বিভিন্ন শাখার বিভিন্ন ব্যাংক কর্মকর্তা প্রতারিত হয়েছেন মর্মে তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মাহমুদুল হাসান বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্মের তথ্যের ভিত্তিতে লেনদেনের পূর্বে তথ্যের সত্যতা যাচাই করে নিতে হবে। যেকোনো আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আরো সতর্ক থাকতে হবে। ডিজিটাল প্লাটফর্মের দ্বারা কেউ প্রতারিত হলে (বিশেষ করে ব্যাংকের ক্ষেত্রে) দ্রুত পুলিশের সহায়তা নিতে অনুরোধ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।