জুমবাংলা ডেস্ক : প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ সব শিক্ষককে ইটিআইএফ পূরণের নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনের জন্য আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষকদের ইটিআইএফ পূরণ করতে বলা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান প্রধানদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে বলেছে ঢাকা বোর্ড।
মঙ্গলবার বোর্ড থেকে বিষয়টি জানিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বোর্ড বলছে, প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ কর্মরত সব শিক্ষকদের পরীক্ষা সংক্রান্ত গোপনীয় কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে ইটিআইএফ পূরণ নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অনুরোধ করা হলো।
বোর্ড আরো জানিয়েছে, সম্প্রতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে প্রধান পরীক্ষক হওয়ার জন্য অনেক শিক্ষক মাস্টার ট্রেইনার না হওয়া সত্ত্বেও ইটিআইএফের ডাটায় মাস্টার ট্রেইনারের কলাম এন্ট্রি করেছেন, যা গর্হিত অপরাধ। সুতরাং যারা প্রকৃত পক্ষে মাস্টার ট্রেইনার নন তারা অনতিবিলম্বে ইটিআইএফের ডাটা থেকে মাস্টার ট্রেইনার কলাম সংশোধন করুন, নতুবা প্রতারণামূলক তথ্যের জন্য শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রত্যায়নকারী হওয়ায় তিনিও দায় এড়াতে পারবেন না। কারণ প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রতিটি শিক্ষকের তথ্য অনুমোদনকারী।
বোর্ড আরো বলেছে, অনেক শিক্ষক তাদের ব্যক্তিগত রেজাল্ট নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি না করে ফাকা রাখেন। অথচ, প্রধান পরীক্ষক, পরীক্ষক হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত রেজাল্টের সুনির্দিষ্ট পয়েন্ট রয়েছে। তাই শিক্ষকদের এসএসসি, এইচএসসি, বিএ, বিএসসি, অনার্স, মাস্টার্স, বিএড, এমএড, পিএইচডি ইত্যাদি পরীক্ষায় প্রাপ্ত বিভাগ বা শ্রেণি ইটিআইএফের নির্দিষ্ট কলামে এন্ট্রি করতে বলেছে বোর্ড।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইটিআইএফে যোগদানের তারিখের (First Joining) ক্ষেত্রে অনেকে তার বর্তমান কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে থাকেন। এ কারণে তার শিক্ষকতার প্রকৃত অভিজ্ঞতার চিত্র এ পাওয়া যাচ্ছে না। একজন শিক্ষক একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১০ বছর কর্মরত ছিলেন, পরবর্তীতে বর্তমান প্রতিষ্ঠানে ৫ বছর কর্মরত আছেন তাহলে তার অভিজ্ঞতা হবে ১৫ বছর। এ ক্ষেত্রে বর্তমান কলেজে যোগদানের তারিখ দিয়ে ডাটা এন্ট্রি করলে অভিজ্ঞতা ৫ বছর বিবেচনায় আসবে। সুতরাং তার যোগদানের তারিখ হবে প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগদানের তারিখ। প্রতিবছর সার্ভিসের জন্য আলাদা পয়েন্ট রয়েছে।
বোর্ড জানিয়েছে, শিক্ষকদের ডাটা পূরণের সময় অবশ্যই সোনালী ব্যাংকের (১৩ ডিজিটের) হিসাব নম্বর দিতে হবে। খণ্ডকালীন, অনিয়মিত এবং অক্ষম ও গুরুতর অসুস্থ শিক্ষকদের তথ্য ইটিআইএফে পূরণ করা যাবে না। যে শিক্ষক যে বিষয়ে পাঠদান করেন শুধুমাত্র সে বিষয়ই সিলেক্ট করতে পারবেন। অন্যথায় তা অপরাধ হিসেবে বিবেটিত হবে। কলেজের ক্ষেত্রে শিক্ষক যে বিষয়ে অনার্স ও মাস্টার্স করেছেন সে বিষয়ই সিলেক্ট করতে পারবেন।
শিক্ষকদের সব সনদ, নিয়োগপত্র ইত্যাদি তথ্য প্রমাণাদি প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে সংরক্ষণ করতে হবে, প্রয়োজনে বোর্ড সেগুলো তদন্ত করবে। কোনো তথ্য গোপন বা অসত্য তথ্য সংযোজন করলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যেসব শিক্ষক পিআরএলরত অবস্থায় বা বয়স ৬০ বছর চলছে তাদের ডাটা নিজ দায়িত্বে ডিলেট করতে হবে।
বোর্ড জানিয়েছে, ইটিআইএফের তথ্য ৩১ জানুয়ারির মধ্যে অবশ্যই পাঠাতে হবে। এর পরে পাঠানোর কোনো তথ্য ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দের এসএসসি পরীক্ষার জন্য প্রযোজ্য হবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।