আন্তর্জাতিক ডেস্ক : খামারে ষাঁড় গরুকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা কি কি রয়েছে সেগুলো খামারিদের ভালোভাবে জানতে হবে। লাভের আশায় অনেকেই গরুর খামার করে থাকেন।
এসব খামারে অনেকে ষাঁড় পালন করে থাকেন। ষাঁড় পালন করার সময় ষাঁড় নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।চলুন আজ জানবো খামারে ষাঁড় গরুকে নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে-খামারে ষাঁড় গরুকে
নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাঃষাঁড় বা বলদ গরুকে যখন এদিক ওদিক নাড়া-চাড়া বা আনা নেওয়া করবেন বিভিন্ন কারণে তখন চোয়াল বা নাকের সাথে সংযুক্ত রশি উঁচু করে টানবেন যাতে ষাঁড়ের মাধা নিচের দিকে না থাকে, নাহলে যেকোন সময় সে আক্রমণ করে বসতে পারে!
ষাঁড় গরু সাধারণত অনেক সময় শারীরবৃত্তিয় যৌন চাহিদার কারণে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে। কাজেই এই ধরনের আচরণ ষাঁড়ের মধ্যে দেখা গেলে তখন তাকে সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
সাধারণত প্রজনন কার্যের ঠিক আগে বা প্রজনন শেষ হওয়ার সাথে সাথে ষাঁড়কে খুব সতর্কতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। কখনো ভীত সন্ত্রস্ত অবস্থায় ষাঁড় গরু নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবেন না।
যদি কোন কারণে ষাঁড়টি বুঝতে পারে আপনি তাকে ভয় পাচ্ছেন তাহলে সে আপনাকে যে কোন সময় আক্রমণ করে বসতে পারে!এই সময় হাতে একটা অন্তত ১ মিটার লম্বা সরু কিন্তু শক্ত একটা লাঠি সাথে রাখা ভালো।
তাছাড়া যেকোন সময়েই ষাঁড় বা বড় বলদ গরু নিয়ন্ত্রণ করার সময় এই ধরনের লাঠি হাতে রাখা উত্তম।সবসময় দুই জন মিলে একটা ষাঁড় বা বলদকে নিয়ন্ত্রণ করা উচিৎ।দুইয়ের অধিক লোক হলে অতিরিক্ত হৈ হল্লায় ষাঁড় বা বলদ বিরক্ত ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে।
যদি কোন কারণে আক্রমণাত্মক ষাঁড়ের রশি আপনার হাত থেকে ছুটে যায় তাহলে অবশ্যই সেই ষাঁড় থেকে অন্তত ৫/৬ মিটার দূরে সরে যাবেন এবং হাতের লাঠি এদিক সেদিক নাড়া-চাড়া করবেন এতে ষাঁড়টি আপনাকে শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মনে করে রণে ভঙ্গ দিতে পারে!
ষাঁড় বা বড় বলদ গরুকে সহজে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য গরুর নাক ছিদ্র করে রিং বা রশি লাগিয়ে দেয়া ভালো, এছড়াও চোয়ালে রশি বা বেল্ট দিয়ে বন্ধনি বা হল্টার লাগিয়ে দিতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।