বিনোদন ডেস্ক : বলিউডের আলোচিত ছবি ‘আশিক বানায়া আপনে’। ২০০৫ সালের জন্য এটি বেশ সাহসী দৃশ্যের সিনেমা ছিল। সেই সিনেমা দিয়ে রীতিমতো তোলপাড় ফেলে দিয়েছিলেন বলিউডের একসময়ের জনপ্রিয় জুটি ইমরান হাশমি ও তনুশ্রী দত্ত। ইমরান যেমন পেয়ে যান ‘কিসারবয়’ তকমা, তেমনি তনুশ্রীও জুটিয়ে নেন আবেদনময়ী নায়িকার তকমা।
দুজনে জুটি বেঁধে বেশ কিছু সিনেমায় কাজ করেছেন। আর পর্দায় রোমান্সও করেছেন ভরপুর। তবে এতো বছর পর এসে অভিনেত্রী জানালেন, ইমরান তেমন ভালো ‘কিসার’ নন। এমনকি তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ দৃশ্য করতেও বেগ পোহাতে হয়েছে অভিনেত্রীকে।
‘আশিক বানায়া আপনে’ সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকটি সেই সময়ের সবচেয়ে সাহসী গানগুলোর মধ্যে একটি ছিল। হাশমির সঙ্গে অভিনেত্রীর রসায়নও দর্শকরা বেশ রসিয়ে উপভোগ করেছেন। কিন্তু ভক্তরা এ জুটির রসায়ন নিয়ে উচ্ছ্বসিত হলেও, অভিনেত্রী অভিনেতার সঙ্গে অন্তরঙ্গ দৃশ্যগুলো ভাগ করে নেওয়ার বিষয়ে ততটা মুগ্ধ হননি।
‘ফিল্মজ্ঞান’-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে ইমরানের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বলেছিলেন তনুশ্রী। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে, প্রথম দিন থেকেই ইমরান সবসময়ই একজন অভিনেতা। আমি তার সঙ্গে তিনটি সিনেমা করেছি। আমরা ‘চকলেট’ সিনেমায়ও একটি চুম্বনের দৃশ্যের জন্য শুটিং করেছি, কিন্তু তারা তা ধরে রাখতে পারেনি।
তনুশ্রী দত্ত জানিয়েছেন, তিনি এবং ইমরান হাশমি উভয়ই একে অপরের সঙ্গে চুম্বনের দৃশ্যে অভিনয় করার সময় খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি। অভিনেত্রী বলেন, দ্বিতীয়বার, আরও বিশ্রী ছিল বিষয়টা। কারণ ব্যক্তিগতভাবে, বাস্তব জীবনে, আমাদের একে অপরের সঙ্গে কোনো রসায়ন নেই। তার একটি ‘কিসারবয়’ ইমেজ আছে, কিন্তু সে শুটিংয়ে আরামদায়ক কোনো চুম্বনকারী নন। এবং আমিও নই।
উল্লেখ্য,তনুশ্রী দত্ত এবং ইমরান হাশমি ‘আশিক বানায়া আপনে’ ছাড়াও ‘চকোলেট’ এবং ‘গুড বয় ব্যাড বয়’ সিনেমায় জুটি বেঁধেছিলেন। তবে ক্যারিয়ার বেশিদুর আগায়নি অভিনেত্রীর। হেনস্তার কারণে বলিউড ছাড়ার কথা জানান তনুশ্রী। ২০১৮ সালে ‘মি-টু’ আন্দোলনকে সামনে নিয়ে আসার কৃতিত্ব দেওয়া হয় অভিনেত্রীকে। ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ সিনেমার সেটে নানা পাটেকারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করার পর থেকেই এটি শুরু হয়েছিল ভারতে। এর পরে, বিনোদন জগতের বিভিন্ন ক্ষেত্রের আরও অনেক নারী তাদের সঙ্গে ঘটে যাওয়া যৌন হয়রানির ঘটনা নিয়ে বেরিয়ে আসেন। যা বেশ তোলপাড় ফেলে দেয় সেই সময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।