আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দেশের গোপন তথ্য পাচারের মামলায় গত জনুয়ারি মাসে ১০ বছরের জেল হয় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ইমরান খানের। সেই মামলায় বর্তমানে আদিয়ালা কারাগারে হাজতবাস করতে হচ্ছে সাবেক এ ক্রিকেটারকে। তবে খুব শিগগিরই ইমরান খান ছাড়া পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী ইন্তেজার পাঞ্জুথা।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম একপ্রেস ট্রিবিউন জানিয়েছে, মঙ্গলবার কারাগারে বন্দি ইমরান খানের সঙ্গে দেখা করেন তার পরিবারের সদ্যসরা। সে সময় তাদের সঙ্গে গিয়েছিলেন আইনজীবী পাঞ্জুথা। পরে এ নিয়ে সাংবাদিকদের তিনি জানান, জাতির স্বার্থে জেল খাটছেন ইমরান। তিনি তার নীতির পরিপন্থি কোনো চুক্তি করতে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেছেন। খুব শিগগিরই সমস্ত চলমান মামলা থেকে খালাস পাবেন এবং কারাবাস থেকে মুক্ত হবেন।
১৯৭১ সাল বাংলাদেশ-পাকিস্তান যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে তখনকার সেনা কর্মকর্তাদের নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেছিলেন ইমরান খান। যা নিয়ে পাঞ্জুথা বলেন, ‘হামুদুর রহমান কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৯৭১ সালের ঘটনাগুলি পরিচালনার বিষয়ে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেছিলেন, ‘রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যুদ্ধের সময় শুধু একজন ব্যক্তি ‘অযোগ্যতা দেখিয়েছিল’ তাছাড়া বাকি সেনাবাহিনী বেশ ভাল যুদ্ধ করেছিল।’
এছাড়াও জেলের বাইরে থাকাকালীন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি এবং তার স্ত্রীর সম্পদের বিপক্ষে ‘দুবাই লিকস’ উন্মোচিত করেছিলেন ইমরান খান। দেশের অর্থনীতি যখন লড়াই করছে তখন তার এমন বিলাসি জীবনযাত্রা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন ইমরান খান।
দলের প্রধান ও সাবেক প্রধানন্ত্রীর এই কারাবাসকে দেশে জবাবদিহিতার অভাব বলে সমালোচনা করেছেন পিটিআই-সমর্থিত পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি।
তিনি বলেন, যে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের ফলে দেশের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়েছে, অথচ দায়ীদের কোনো জবাবদিহিতা নেই। সমগ্র অভিজাত শ্রেণী হল জবাবদিহিতার ইস্যুতে সবচেয়ে বড় বাধা। জনগণও বিশ্বাস করে যে, পাকিস্তানে কোনো ন্যায়বিচার নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।