লাইফস্টাইল ডেস্ক : বেঁচে আছে এবং স্থলে বাস করে—এমন প্রাণীদের মধ্যে জনাথন নামে একটি কচ্ছপকেই সবচেয়ে বেশি বয়সী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এবার তার নামের পাশে যোগ হলো আরও একটি বছর। আজ সোমবার এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি ১৯১ বছর বয়সে পা রেখেছে জনাথন।
আজ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী ধারণা করা হয়, ১৮৩২ সালে জন্ম গ্রহণ করেছিল জনাথন। মূলত সেশেলস দ্বীপপুঞ্জ থেকে ১৮৮২ সালে সেন্ট হেলেনা দ্বীপে নিয়ে আসার ওপর ভিত্তি করেই জনাথনের বয়স গণনা করা হচ্ছে। সেন্ট হেলেনায় নিয়ে আসার সময় জনাথনের বয়স ছিল ৫০ বছর।
জনাথনের বিষয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কচ্ছপটি বহু আগেই তার প্রজাতির গড় আয়ু ১৫০ বছর অতিক্রম করেছে।
বলা হচ্ছে, বয়স নথিভুক্ত হওয়া কচ্ছপের মধ্যে এখন পর্যন্ত জনাথনই সবচেয়ে বেশি বছর বেঁচে থাকার রেকর্ড গড়েছে। তার আগে এই রেকর্ডটি ছিল তু’ই মালিলা নামে আরেকটি কচ্ছপের। ১৯৬৫ সালে ১৮৮ বছর বয়সে মারা গিয়েছিল মালিলা। ২০২১ সালে বয়সে মালিলাকেও ছাড়িয়ে যায় জনাথন।
জো হোলিন্স নামে এক পশুচিকিৎসক জনাথনের দেখাশোনা করেন। তিনি জানিয়েছেন, এত বছর বয়স হলেও জনাথন এখনো সুস্থ এবং সহৃদয়।
জনাথনের বিষয়ে জো হোলিন্স বলেন, ‘ঘ্রাণশক্তি হারানো এবং চোখে ছানি পড়ে অন্ধ হয়ে যাওয়ার পরও তার প্রখর ক্ষুধা রয়েছে।’
জো হোলিন্স জানান, সপ্তাহে একবার একটি ছোট্ট দল জনাথনকে হাতে তুলে খাবার খাওয়ায়। খাদ্যতালিকার মধ্যে ফল ও শাক-সবজির সম্মিলন থাকে। এই খাবার দিয়ে ক্যালরি সংগ্রহের পাশাপাশি শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ উপাদানগুলো পেয়ে থাকে কচ্ছপটি। তার প্রিয় খাবারের মধ্যে রয়েছে—বাঁধাকপি, শসা, গাজর, লেটুস হার্ট ও আপেল। বিশেষ করে, কলা তার খুব পছন্দ।
জো হোলিন্স বলেন, ‘ভাবতেই ভালো লাগে, ভদ্র এই দৈত্যটি সমগ্র মানবজাতিসহ ভূমিতে থাকা অন্য যেকোনো জীবিত প্রাণীর চেয়ে বেশি বয়সের।’
দ্য গার্ডিয়ানের মতে, গত বছরের নভেম্বরে সেন্ট হেলেনার গভর্নর নাইজেল ফিলিপস জনাথনের জন্মদিন পালন করার জন্য ‘৪ ডিসেম্বর’ দিনটিকে নির্ধারণ করে দিয়েছিলেন।
জনাথনের জীবদ্দশায় এখন পর্যন্ত ৮ ব্রিটিশ রাজা এবং ৪০ জন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রাজত্ব করেছেন।
জনাথনের চলাফেরা নিয়ে জো হোলিন্স বলেন, ‘তিনি রোদ উপভোগ করেন। তবে খুব বেশি গরম পড়লে তিনি ছায়ায় চলে যান।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।