আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আমেরিকায় ৩০ শতাংশ সম্পদ চলে গেছে মাত্র ১ শতাংশ মানুষের হাতে। ফলে সম্পদের মালিকানায় বৈষম্য বেড়েছে। ধনীরা হয়ে উঠেছেন আরও ধনী, আর দরিদ্ররা হয়েছেন আরও দরিদ্র। সম্প্রতি ফেডারেল রিজার্ভের প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ফেডারেল রিজার্ভের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানিয়েছে, গত বছরের চতুর্থ প্রান্তিক শেষে ১ শতাংশ মানুষের সম্পদের আকার পৌঁছেছে ৪৪ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলারে। এর পেছে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে পুঁজিবাজারের ঊর্ধ্বগতি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১ শতাংশ মার্কিনির সম্পদ বেড়েছে ২ ট্রিলিয়ন ডলার। ওই ১ শতাংশের অধীনে থাকা করপোরেট ইকুইটি ও মিউচুয়াল ফান্ড শেয়ারের আকার পৌঁছেছে ১৯ দশমিক ৭ ট্রিলিয়ন ডলারে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ১৭ দশমিক ৬৫ ট্রিলিয়ন ডলার।
আন্তর্জাতিক রেটিংদাতা প্রতিষ্ঠান মুডি’সের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জানদি বলেন, পুঁজিবাজারের এই ঊর্ধ্বগতিকে বলে ‘ওয়েলথ ইফেক্ট’। এতে সম্পদশালীদেরই সম্পদ বাড়ে এবং তারা আরও সুবিধাভোগী হয়। কারণ পুঁজিবাজারের ওপর মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের নির্ভরশীলতা নেই। তারা মূলত বেতনের ওপর নির্ভরশীল। ফলে স্টকের ওঠানামায় তাদের কিছু এসে যায় না।
ফেডের প্রতিবেদন অনুসারে, ১০ শতাংশ আমেরিকানের হাতে ৮৭ শতাংশ ইন্ডিভিজুয়াল স্টক ও মিউচুয়াল ফান্ডস। শীর্ষ ১ শতাংশের দখলে প্রায় অর্ধেক সম্পদ।
চার্লস স্কোয়াবের প্রধান বিনিয়োগ কৌশলী লিজ অ্যান সন্ডার্স বলেন, ‘যারা বছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ডলারের বেশি আয় করে, তাদের ব্যয় ২০১৭ সালের পর থেকে কমতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে সম্পদ বেড়েছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।