আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। রাতের আকাশ তখনও অন্ধকারে ঢাকা। ঠিক সেই সময় আচমকা এক রহস্যময় সবুজ গোলা ঝলসে উঠল আকাশে। সেই অতি উজ্জ্বল আলো ছুটতে শুরু করল দ্রুত গতিতে।
Table of Contents
সবাই অবাক! আকাশে ছুটছে সবুজ আলোর গোলা
রাত ফুরিয়ে আসছে, ভোর হবে হবে করছে। তবুও আকাশে তখনও লেপ্টে আছে ঘন অন্ধকার। রাস্তায় তখন কিছু মানুষ ছিলেন, কেউ সবে ঘুম থেকে উঠেছেন, কেউ আবার কাজের প্রয়োজনে জেগে ছিলেন। হঠাৎ আকাশে নজর যেতেই চোখ আটকে গেল সেই উজ্জ্বল সবুজ আলোর গোলায়।
আলোটা এতটাই তীব্র ছিল যে না দেখেও উপায় ছিল না। আকাশের বুক চিরে সেই সবুজ গোলাটি ছুটে চলছিল অবিরাম। মাঝে মাঝেই তার উজ্জ্বলতা আরও বেড়ে যাচ্ছিল।
সবুজ থেকে কমলা! রং বদলে চমকে দিল সবাইকে
সবুজ গোলাটি যখন ঝলসে উঠছিল, তখন মাঝে মাঝে তার রং বদলে কমলা হয়ে যাচ্ছিল। এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যান প্রত্যক্ষদর্শীরা। অনেকেই মোবাইল ক্যামেরায় বন্দি করেন সেই মুহূর্ত। এমন দৃশ্য তাঁরা আগে কখনও দেখেননি।
কী ছিল সেই রহস্যময় উজ্জ্বল গোলা?
আলোটা ধীরে ধীরে নিচের দিকে নেমে আসছিল। উপস্থিত মানুষজন তখন নানা রকম জল্পনায় মেতে ওঠেন। কেউ ভিনগ্রহী যান বলে ধরে নেন, আবার কেউ ভাবেন এটি কোনও মহাজাগতিক বিস্ময়।
বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা: রহস্য নয়, এটি উল্কাপিণ্ড
বিশেষজ্ঞরা পরে জানিয়েছেন, আসলে এটি কোনও ভিনগ্রহী যান বা রহস্যময় কিছু নয়। এটি ছিল একটি ভয়ংকর উল্কাপিণ্ড, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে ঘর্ষণের ফলে জ্বলে উঠছিল। সেই ঝলকানিতেই রাতের আকাশে সৃষ্টি হয় সবুজ ও কমলা আলোর গোলার দৃশ্য।
সীসা থেকে তৈরি হয়ে গেল সোনা, সম্ভব হলো হাজার বছরের পুরনো স্বপ্ন!
উল্কাপিণ্ডের শেষ পরিণতি কী?
বিশেষজ্ঞরা এখন তদন্ত করছেন, সেই উল্কাপিণ্ড আকাশেই জ্বলতে জ্বলতে শেষ হয়ে গেছে নাকি তার কিছু অংশ পৃথিবীর মাটিতে আছড়ে পড়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে কিছু জানা যায়নি, তবে অস্ট্রেলিয়ার আকাশজুড়ে সেই উজ্জ্বল আলোর দৃশ্য ছিল নিঃসন্দেহে এক মহাজাগতিক বিস্ময়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।