লাইফস্টাইল ডেস্ক : আদর্শ খাবার হিসেবে সুপরিচিত দুধ। একসঙ্গে সব পুষ্টিমান পেতে সব বয়সী মানুষেরই দুধ খাওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এ দুধ কীভাবে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যাবে, তা নিয়ে অনেকেই ভোগেন দ্বিধাদ্বন্দ্বে।
দুধ ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম, জিংক, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, ওমেগা ৩ ও ৬, ভিটামিন বি ১২, খনিজ, ফসফরাস, রিবোফ্লভিন ইত্যাদি। তাই প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ ডায়েটে রাখা জরুরি।
কিন্তু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ প্রথম সারির এ খাবার কীভাবে খাবেন? গরম নাকি ঠান্ডা? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যক্তিভেদে ও শরীরের কাঠামো অনুযায়ী, কারো ক্ষেত্রে দুধ ঠান্ডা আবার কারো ক্ষেত্রে দুধ গরম করে খেলে বেশি কাজে আসে। যেমন:
# পুষ্টিবিদদের মতে, ঠান্ডা না গরম কোন ধরনের দুধে শরীর বেশি পুষ্টি পাবে তা নির্ভর করে আপনি দুধ কেন খাচ্ছেন তার ওপর।
# যদি আপনার অনিদ্রার সমস্যা থাকে তবে গরম দুধেই আপনি বেশি উপকার পাবেন। কেননা গরম দুধে অ্যামাইনো অ্যাসিড বেশি সক্রিয় থাকে, যা দ্রুত ঘুম আনতে সাহায্য করে।
# এ ছাড়া সর্দি, কাশি, জ্বর বা পিরিয়ডের সময় গরম দুধ শরীরে বেশি কার্যকর হয়ে ওঠে। তার মানে এই নয় ঠান্ডা দুধের কোনো উপকারিতা নেই।
# ডায়েটেশিয়ানরা বলছেন, যাদের বদহজমের সমস্যা রয়েছে তারা গরম দুধের পরিবর্তে ঠান্ডা দুধেই বেশি উপকার পাবেন।
# আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলে ঠান্ডা দুধ খান। আর ওই দুধে মিশিয়ে নিন সামান্য ইসবগুল। নিয়মিত এভাবে দুধ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে।
# ঠান্ডা দুধে বিপাক ক্রিয়া বেশি কার্যকর থাকে। তাই যারা ওজন ঝরাতে চান তারা ঠান্ডা দুধ খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন।
# এ ছাড়া ঠান্ডা দুধে থাকে প্রচুর পরিমাণে ইলেকট্রোলাইট। এ ইলেকট্রোলাইট ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে কাজ করে।
তাই ঠান্ডা না গরম কোন দুধ খেলে আপনি বেশি আরাম পান সে অনুযায়ী ডায়েটে প্রাধান্য দিন ঠান্ডা অথবা গরম দুধকে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।