জুমবাংলা ডেস্ক : বিশ্বের সবচেয়ে ধীরগতির শহর ঢাকায় উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চলছে। এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ কমেছে, বেঁচেছে সময়। মেট্রোরেলে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। মেট্রোরেলের আয় নিয়ে অনেক মানুষের আগ্রহ আছে।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, পুরোদমে চালু হলে মেট্রোরেলে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করবেন। তখন মাসে ৭২০-৭৩০ কোটি টাকা আয় হবে। সেই হিসাবে দাম না বাড়ালে শুধু টিকিট বিক্রির আয় দিয়ে মেট্রোরেল নির্মাণের খরচ উঠে আসতে কমপক্ষে ৪৫ বছর লাগবে।
মেট্রোরেল যখন পুরোদমে চলবে, তখন প্রতিবছর গড়ে এক হাজার কোটি টাকার মতো পরিচালন ব্যয় হবে। এই খরচের প্রায় ৭৫ শতাংশ আসবে টিকিট বিক্রি থেকে। বাকিটা পাওয়া যাবে স্টেশন প্লাজার দোকান ভাড়া, বিজ্ঞাপন ও অন্যান্য খাত থেকে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান মেট্রোরেলের অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের তিনটি দিক তুলে ধরে বলেন, এই ধরনের অবকাঠামোতে বিনিয়োগ উঠে আসার হার (রেট অব রিটার্ন) একটু কম। কারণ, যত টাকা খরচ করে মেট্রোরেল করা হয়, সেই অনুযায়ী ভাড়া ঠিক করা হলে, যাত্রীরা তা দিতে পারবেন না। কিছুটা ভর্তুকি দিয়েই এটা চালাতে হয়।
দ্বিতীয়ত, যানজটের শহরে দ্রুত চলাচলের জন্য মেট্রোরেল বেশ কার্যকর। তাই এর ইতিবাচক অর্থনৈতিক উপযোগিতা আছে। তৃতীয়ত, এ ধরনের প্রকল্পে বিনিয়োগে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি থাকা উচিত। বেশি দামে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না, সময় প্রকল্প শেষ হচ্ছে কি না, তা দেখতে হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।