নয়াদিল্লি এবং বেইজিং চুক্তির প্রধান শর্ত

ind china

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দু’দেশের সীমান্ত এলাকাগুলোতে টহলদারীর ক্ষেত্রে গত চার বছর ধরে যে অচলাবস্থা বিরাজ করছিল, তা থেকে বেরিয়ে আসতে চুক্তি করেছে ভারত এবং চীন।

ind china

সাক্ষাৎকারে জয়শঙ্কর বলেন, “আমরা চীনের সীমান্ত সংলগ্ন আমাদের অঞ্চলগুলোতে টহলের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এখন থেকে সীমান্ত অঞ্চলে ভারত এবং চীনের সীমান্তরক্ষীরা আগের মতোই টহল দিতে পারবেন। গত চার বছর ধরে এক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছিল, এই চুক্তির ফলে তা দূর হবে বলে আমরা আশা করছি।”

ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য হিমাচল এবং জম্মু-কাশ্মির রাজ্যের লাদাখের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে চীনের। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের পর একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল নয়াদিল্লি এবং বেইজিং। সেই চুক্তির প্রধান শর্ত ছিল যে সীমান্ত অঞ্চলে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী ও সেনাদের কেউ আগ্নেয়াস্ত্র সঙ্গে রাখতে পারবেন না।

তারপর প্রায় ৬ দশক শান্ত থাকার পর ২০২০ সালের জুনে লাদাখের সীমান্ত অঞ্চল গালাওয়ানে বিরল এক সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে চীন এবং ভারতীয় সেনারা। লাঠিসোঠা এবং ধারাল অস্ত্র হাতে পরস্পরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে তারা। সেই সংঘাতে অন্তত ২০ জন ভারতীয় এবং ৪ জন চীনা সেনা নিহত হয়েছিলেন।

এই ঘটনা ভারত এবং চীনের কূটনৈতিক সম্পর্কে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছিল। সীমান্ত অঞ্চলেও এতদিন সেনা টহলদারী বন্ধ রেখেছিল দুই দেশ।

এই চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চুক্তির একটি শর্ত হলো সীমান্ত ঘেঁষে কোনো দেশ সেনা ছাউনি করতে পারবে না। পাশাপাশি বর্তমানে সীমান্তঘেঁষা যেসব সেনাছাউনি রয়েছে, সেগুলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়টিও চুক্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ-ভারত গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্প বাতিল

এনডিটিভিকে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত চুক্তির শর্ত মেনে চলবে এবং নয়াদিল্লি আশা করছে, বেইজিংও তা ই করবে। আমরা আমাদের পারস্পরিক সম্পর্ককে ২০২০ সালের আগের বাস্তবতায় নিয়ে যেতে চাই।”