আন্তর্জাতিক ডেস্ক : রাজনৈতিক দলগুলোকে বেনামে অনুদান প্রদানের প্রকল্প বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ এই রায় দিয়েছে।
আদালত বলেছে, নির্বাচনী বন্ড প্রকল্প ‘অসাংবিধানিক’। তাই তা ‘বাতিল হওয়া উচিত’। নির্বাচনী বন্ড তথ্য জানার অধিকার (আরটিআই) আইনকে লঙ্ঘন করছে।
ভোটে কালো টাকার খেলা বন্ধ করার কথা বলে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকাকালে ২০১৮ সালে প্রয়াত অরুণ জেটলি নির্বাচনী বন্ডের কথা ঘোষণা করেছিলেন। ২০১৭ সালের অর্থ বিলের মাধ্যমে আইনে একগুচ্ছ সংশোধনী এনে মোদি সরকার ২০১৮ থেকে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল। এর ফলে কোনো ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলগুলোকে চাঁদা দিতে চাইলে, বন্ড কিনে সংশ্লিষ্ট দলকে দিতে হবে। ১ হাজার, ১০ হাজার, ১ লাখ, ১০ লাখ এবং ১ কোটি টাকা মূল্যের বন্ড পাওয়া যাবে।
রাজনৈতিক দলগুলো নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। কিন্তু কে, কত টাকা দিচ্ছেন, তা বোঝা যাবে না। বিষয়টির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিরোধী দলগুলো বলেছিল, এতে অস্বচ্ছতাই বাড়বে। কোন কর্পোরেট সংস্থা কাকে ভোটে সাহায্য করছে, তার বিনিময়ে ক্ষমতাসীন দলের থেকে কী সুবিধা আদায় করছে, তা জানার কোনো উপায় নেই এই ব্যবস্থায়।
বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধান বিচারপতি বলেছেন, ‘এই প্রকল্প অসাংবিধানিক। তাই এটি বাতিল করা উচিত। এই প্রকল্প নাগরিকদের তথ্যের অধিকার আইন লঙ্ঘন করে। এ ছা়ড়াও এই প্রকল্পের মাধ্যমে সংবিধানের ১৯(১)(ক) অনুচ্ছেদের অধীনে বাক ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে লঙ্ঘন করে।’
দুর্দান্ত এক্সপ্রেশন দিয়ে উদ্দাম ড্যান্স দিয়ে ঝড় তুললেন মুসকান বেবি, ভাইরাল ভিডিও
নির্বাচনী বন্ডকে ‘কুইড প্রো কুয়ো’ বলে মন্তব্য করে আদালত বলেছে, এটি কোনো কিছুর বিনিময়ে কাউকে সুবিধা পাইয়ে দেওয়া। রাজনৈতিক দলগুলোতে আর্থিক অনুদান দু’টি পক্ষের জন্য তৈরি করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোকে সমর্থন করার জন্য নয়তো ‘কুইড প্রো কুয়ো’ উপায়ে অবদান রাখার জন্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।