আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সম্প্রতি ইসকনের বহিস্কৃত নেতা চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার করায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে উষ্মা প্রকাশ করে প্রশ্ন তুলেছেন বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশি লেখক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য।
বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ প্রশ্ন করেন।
পোস্টে জুলাই অভ্যুত্থানে ভারতের প্রতিক্রিয়া না দেখানোর কথা স্মরণ করিয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য লিখেন, জুলাই মাসে নির্বিচারে নিরস্ত্র মানুষকে শেখ হাসিনা খুন করার সময় ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর কী হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ ও নিবর্তনমূলকভাবে আটককৃত ছাত্র-ছাত্রীদের মুক্তি দাবি করেছিল?
সম্প্রতি ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের গ্রেপ্তারে ভারতের প্রতিক্রিয়ায় উষ্মা প্রকাশ করে তিনি আরও প্রশ্ন করেন, চিন্ময় দাসের মুক্তির দাবিতে ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কোন অধিকারে?
গত মঙ্গলবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং জামিন আবেদন নামঞ্জুর করার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার এবং জামিন আবেদন নাকচ করায় ভারত উদ্বিগ্ন। বাংলাদেশে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার পর এ ঘটনা ঘটেছে। দেশটিতে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট এবং দেবতার অবমাননা ও মন্দিরে চুরি-ভাঙচুরের একাধিক নথিভুক্ত ঘটনা রয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদে অংশ নেওয়া সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার বিষয়টিও উদ্বেগের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছি। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো, হামলার পেছনে যারা জড়িত, তাদের বড় অংশকেই বাদ দিয়ে; ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করা একজন ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।