আন্তর্জাতিক ডেস্ক : আপনি নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে সড়ক পথে যাতায়াতের সময় রাস্তার নির্দিষ্ট দূরত্বের পর পর বিভিন্ন রঙের মাইলস্টোন দেখতে পাওয়া যায়। যেগুলো দেখে আপনি বুঝতে পারেন যে পরবর্তী শহর থেকে কতটা দূরে রয়েছেন। বিশেষ করে ড্রাইভারদের এটি অনেক সহায়তা করে এবং তারা সেইরকম গাড়ির গতিকে নিয়ন্ত্রণ করে গন্তব্যস্থলে পৌঁছায়।
কিন্তু আমাদের দেশে এমনই একটি স্থান রয়েছে যাকে ‘জিরো মাইলস্টোন’ বলা হয়। আর এই কারণেই ওই মাইলস্টোনের ওপরে ‘জিরো’ (0) লেখা আছে। তাহলে এখন প্রশ্ন হল কেন একে ‘জিরো মাইলস্টোন’ বলা হয়? তাহলে কোন যাত্রীর গন্তব্যস্থল কি এখানেই শেষ? নিশ্চয়ই আপনিও অবাক হলেন তাই তো?
আসলে এর পেছনে রয়েছে এক ঐতিহাসিক কারণ। ভারতবর্ষের বেশ কিছু জায়গা রয়েছে যেগুলো তাদের বিশেষ কিছু কারণের জন্য বিখ্যাত হয়ে রয়েছে। তেমনি একটি হল ‘জিরো মাইলস্টোন’। আসলে এটি নাগপুরে (Nagpur) অবস্থিত এবং একমাত্র মাইলস্টোন হিসাবে এখানে ‘0’ লেখা আছে।
কথিত আছে, ১৯০৭ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার যখন ভারতবর্ষের প্রধান শহরগুলির মধ্যে দূরত্ব পরিমাপ করতে গিয়েই এমনটা করেছিল। ব্রিটিশ সরকার আসলে ভারতের নাগপুর শহরকে দেশের কেন্দ্র হিসেবে বেছে নেয় এবং সেখানে স্থাপিত একটি মাইলস্টোনে ‘0’ লিখেছিল। আর সেই থেকেই এটি ‘জিরো মাইলস্টোন’ হিসেবে পরিচিত হয়।
তবে নাগপুরকে ‘জিরো মাইলস্টোন’ হিসেবে বেছে নেওয়ার একটি ভৌগলিক কারণ থাকতে পারে। আসলে ভারতের চারটি মেট্রোপলিটন শহর অর্থাৎ মুম্বাই, কলকাতা, দিল্লী ও চেন্নাই এর মধ্যিখানে নাগপুর অবস্থিত। আজও ব্রিটিশদের নির্মিত এই ‘জিরো মাইলস্টোনটি’ স্মৃতিসৌধ হিসেবে রয়েছে। এই স্তম্ভটি বেলে পাথরের নির্মিত এবং এর সামনে চারটি ঘোড়ার তাদের পা তুলে রয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।