স্পোর্টস ডেস্ক : সাডেন ডেথের পর আকস্মিক টস। সেই টসে ভারত জিতে। তবে বাংলাদেশ এতে আপত্তি জানায়৷ এ নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এরপর দুই ঘন্টা অপেক্ষা ছিল ফলাফল ঘোষণার জন্য। রাত সাড়ে দশটার পর পুরস্কার প্রদান মঞ্চে সাফ সেই জটিলতার নিরসন করে। বাংলাদেশ ও ভারত উভয় পক্ষকে সন্তুষ্ট করে যুগ্ম শিরোপা ঘোষণা করে সাফ।
মূল ম্যাচ ড্র হওয়ার পর টাইব্রেকারের ১১ শটে মীমাংসা না আসায় টসের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তাতে জিতে সাফ নারী অনূর্ধ্ব-১৯ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জয়ের উল্লাসে মাতে ভারত। তবে ম্যাচ কমিশনার নিজের ভুল শোধরাতে যাওয়ায় ফের তৈরি হয় নাটক। টসের সিদ্ধান্ত বাতিল করলে ভারত আর খেলতে রাজী হয়নি।
হস্পতিবার কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ মোস্তাফা কামাল স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কান ম্যাচ কমিশনার ডি সিলভা জয়সুরিয়ার ভুলে জন্ম হয়েছে অতি নাটকীয়তার। শেষ পর্যন্ত সেই ভুল শোধরাতে চ্যাম্পিয়ন দুই দলই।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হওয়া ম্যাচে ৮ মিনিটে শিবানি দেবির গোলে এগিয়ে যায় ভারতের মেয়েরা। পুরো ম্যাচে দাপট দেখিয়ে গোল ধরে রেখে জয়ের দিকে ছুটতে থাকে তারা। গোল শোধ করতে না পারার হতাশায় কাবু বাংলাদেশ যখন হারের কিনারে তখনই বদলে যায় ছবি। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর যোগ করা সময়ের শেষ মিনিটে সাগরিকা দেখান ঝলক। তার দারুণ গোলে ম্যাচ শেষ হয় সমতায়।
টাইব্রেকারে পরে দুই দলের এগারো শটের সবগুলোই গোল হলে খেলা বন্ধ করে ম্যাচ রেফারির কাছে ম্যাচ কমিশনার টস করার বার্তা দেন। এমন সিদ্ধান্ত বিস্ময় প্রকাশ করে বাংলাদেশ। যদিও টস করতে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক আফিদা খাতুন। তাতে জিতে ভারত আনন্দ শুরু করলে হতাশায় নুয়ে পড়ে স্বাগতিকরা। নাটকের যে তখনো বড় অংশ বাকি কে জানত!
ম্যাচ কমিশনার পরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন। টসের সিদ্ধান্ত বাতিল করে টাইব্রেকারের পেনাল্টি শ্যুট আউট চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে আগে একবার জয়ী ঘোষণা করায় ভারত খেলতে রাজী হয়নি। তারা মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যায়। বাংলাদেশ দল মাঠে অবস্থান করে সিদ্ধান্তের অপেক্ষা করতে থাকে।
৩০ মিনিট অপেক্ষার পর মাঝমাঠে মঞ্চ সাজানো হয়। সেখানে সাফ কর্তৃপক্ষ দুই দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করে। শেষ হয় সাড়ে ৪ ঘন্টার ঘটনাবহুল ফাইনাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।