স্পোর্টস ডেস্ক : চার নম্বরে স্বচ্ছন্দ তিনি। এই পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে করেছেন সেঞ্চুরিও। অথচ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সূর্যকুমার যাদবকে নামিয়ে দেওয়া হলো ওপেনিংয়ে। বিশ্বকাপের আগে ভারতীয় দলের পরীক্ষা-নিরীক্ষার অংশ এটা।
প্রথম দুই ম্যাচে ব্যর্থ সূর্যকুমার। আউট হয়েছেন ২৪ ও ১১ করে। এর পরই তাঁর ক্যারিয়ার ধ্বংস করার মতো বিস্ফোরক অভিযোগ ওঠে অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিপক্ষে! ভারতের সাবেক অধিনায়ক ও প্রধান নির্বাচক কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্তের ক্ষোভ, ‘সূর্যকুমার চার নম্বরে অসাধারণ ব্যাট করে। বিশ্বকাপে ওর চারে খেলা উচিত, ওপেনিংয়ে নয়। রোহিতসহ টিম ম্যানেজমেন্টকে বলব, এই পজিশনে পরীক্ষা করতে হলে আইয়ারকে বাদ দিয়ে ঈশান কিষানকে নিন। সূর্যকুমারের মতো ক্রিকেটারকে নষ্ট করবেন না। এমনটা করবেন না দয়া করে। ’
এমন সমালোচনায় গা করেননি রোহিত শর্মা। তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতেও সূর্যকুমারকে নামান ওপেনিংয়ে। সেই ম্যাচে কথিত ‘ধ্বংসস্তূপ’ থেকে যেন হলো সূর্যোদয়। ৪৪ বলে ৮ বাউন্ডারি ৪ ছক্কায় ৭৬ রানের ইনিংস খেলে সূর্যকুমার বোঝালেন, ওপেনিংয়েও খারাপ নন তিনি। তাঁর ইনিংসে ভর করে ক্যারিবীয়দের ১৬৪ রানের চ্যালেঞ্জ এক ওভার ও ৭ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় ভারত। এরপর রোহিতের প্রশংসায় সূর্যকুমার জানালেন, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচে ওপেন করাটা নতুন অভিজ্ঞতা। রোহিতই ঝুঁকিটা নিয়েছে। তবে আইপিএলে ওপেন করেছি আমি। নতুন এই পজিশনটা উপভোগ করছি। ধন্যবাদ রোহিতকে। ’
এই ম্যাচের পর আজ টি-টোয়েন্টি র্যাংকিং প্রকাশ করেছে আইসিসি। তাতে ব্যাটিং র্যাংকিংয়ে দুইয়ে উঠে এসেছেন সূর্যকুমার। শীর্ষে থাকা বাবরের চেয়ে পিছিয়ে মাত্র ৩ রেটিং পয়েন্টে। তাঁর চেয়ে মাত্র ২ পয়েন্ট বেশি নিয়ে শীর্ষে বাবর আজম। এই সিরিজেই বাবরকে পেছনে ফেলার হাতছানি তাই সূর্যকুমারের। ২২ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ৫ ফিফটিসহ এই ব্যাটার রান করেছেন ১৭৫.৬০ স্ট্রাইক রেটে। হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন পোস্টারবয়।
২০১১ সালের আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স সূর্যকুমারকে যখন কিনেছিল তখন খেলেছিলেন কেবল একটি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ। ২০১৪ সালে যোগ দেন কলকাতায়। তবে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন গত বছর, তত দিনে বয়স ৩০ পেরিয়ে গেছে। তাতে কী? এক বছর না পেরোতেই টি-টোয়েন্টি র্যাংকিংয়ের শীর্ষস্থানের একেবারে দুয়ারে সূর্যকুমার। হয়ে উঠেছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন সূর্য।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।