৬০০ বাংলাদেশিকে প্রবেশ করতে দিল না ভারত

জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সহিংসতা অব্যাহত থাকায় মৃত্যুর ভয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা প্রায় ৬০০ জনের একটি দলকে পশ্চিমবঙ্গের একটি সীমান্ত পয়েন্টে প্রবেশে বাধা দিয়েছে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। গত সোমবার শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত ও ভারতে আসার পর থেকে সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে ভারত।

বুধবার ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করা ওই দলের অনেকেই দাবি করেন, বাংলাদেশে একটি অন্তর্বর্তী সরকার গ্রহণের প্রাক্কালে রয়েছে। তারা তাদের জীবনের ভয়ে ভারতের প্রবেশের জন্য বিএসএফের কাছে অনুরোধ করেন।

বিএসএফের কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, ৬০০ জনের ওই দলটি পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলার দক্ষিণ বেরুবাড়ি গ্রামে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তারা আমাদের কাছে ভারতে প্রবেশের জন্য আবেদন করছিল। এসময় তারা দাবি করে, তাদের ওপর আক্রমণের আশঙ্কার ভয় এবং জীবনের হারনোর ভয় ছিল। এসময় তাদের বোঝানো হয়েছিল যে তাদের এইভাবে প্রবেশ করতে দেওয়া সম্ভব নয়।

গ্রুপের কিছু লোক ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলেও, অনেকে বুধবার সন্ধ্যায় সীমান্ত পয়েন্টে ছিল, এই আশায় যে শেষ পর্যন্ত তাদের অতিক্রম করার অনুমতি দেওয়া হবে।

স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, ‌‌কাঁটাতারের ওপারে জড়ো হওয়া লোকেরা ভিতরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিল। কিন্তু আমরা অসহায়। তারা তাদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা বলেছে।

গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের আগে থেকেই বাংলাদেশে সমস্যা তৈরি হয়েছিল। বাংলাদেশের উচ্চ আদালতে বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধের মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য সরকারি চাকরিতে ৩০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ পুনর্বহাল করার পর শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ শুরু হয় গত জুন মাসে। কোটা সংস্কার করে পরে দেশের সর্বোচ্চ আদালত রায় দিলেও বিক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা তা মানেনি।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত ছিল এবং রোববার সারা দেশে আন্দোলনকারীদের এবং পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে ১০০ জনেরও বেশি নিহত এবং বেশ কিছু মানুষ আহত হয়।

ভারতে সব ধরনের সহায়তা পাবেন শেখ হাসিনা: নয়াদিল্লি

সোমবার হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নামতে দেখা যায়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন আক্রমণ করে এবং হাসিনাকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করে। নোবেল বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেবেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামান।