স্পোর্টস ডেস্ক : ঘরের মাঠে ভারতকে হারানো এমনিতেই কঠিন। তার ওপর ওয়ানডে বিশ্বকাপের চলতি আসরে দলের ক্রিকেটাররা প্রায় সবাই ফর্মে। এ অবস্থায় ভারতকে হারাতে বিশেষ কিছু করতে হতো নিউজিল্যান্ডের। তবে তা পারেনি কিউইরা।
তাই আরো একবার দাপুটে জয়ের দেখা পেয়েছে ভারত। মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথমে ব্যাট করে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করেছিল দলটি। জবাবে ৩২৭ রানের বেশি করতে পারেনি ৪৯.৫ ওভারে অল আউট হওয়া নিউজিল্যান্ড। টিম ইন্ডিয়ার জয় ৭০ রানে।
আসরে টানা ১০ জয়ে অপরাজিত দল হিসেবে ফাইনালে উঠেছে ভারত। আগামী ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ম্যাচের জয়ী দলের মোকাবেলা করবে স্বাগতিকরা।
পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে এদিন শুরুতেই ধাক্কা খায় নিউজিল্যান্ড। দুই ওপেনারই দ্রুত ফেরেন। শামির জোড়া আঘাতে সমান ১৩ রান করে আউট হন ডেভন কনওয়ে ও রাচিন রবীন্দ্র। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে প্রতিরোধ গড়ে কিউইরা।
কেন উইলিয়ামসন ও ড্যারিল মিচেলের ১৮১ রানের জুটিতে বিপর্যয় সামলে জয়ের পথে ছিল নিউজিল্যান্ড। তবে দ্বিতীয় স্পেলে আক্রমণে এসে আবার জোড়া আঘাত হানেন শামি। সেই সঙ্গে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন ব্ল্যাকক্যাপসদের।
৬৯ রান করা উইলিয়ামসনকে ফেরানোর পর রানের খাতা খোলার আগেই টম ল্যাথামকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন শামি। একপ্রান্ত আগলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৩৪ রান করেন মিচেল। তবে দলকে জেতাতে তা যথেষ্ট ছিল না।
শেষদিকে গ্লেন ফিলিপসের ৪১ রানের ক্যামিও দলের হারের ব্যবধানই কমিয়েছে শুধু। নিউজিল্যান্ডের বিপর্যয়ের দিনে আরো একবার আলো নিজের দিকে নিয়েছেন শামি। চলতি আসরে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন এ পেসার।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রোহিত শর্মা। মাত্র ২৯ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। দারুণভাবে এগোতে থাকা শুভমান গিল রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন। শেষদিকে ফের নামা এ ব্যাটার অপরাজিত থাকেন ৮০ রানে।
তিনে নামা বিরাট কোহলি ও চারে নামা শ্রেয়স আইয়ার দুজনেই আজ সেঞ্চুরির দেখা পান। তবে কোহলির সেঞ্চুরিটা একটু বেশিই আলাদা। কারণ এ সেঞ্চুরির মধ্য দিয়েই ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ শতকের রেকর্ড নিজের করে নেন তিনি।
আউট হওয়ার আগে কোহলি ১১৭ ও আইয়ার ১০৭ রান করেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে টিম সাউদি তিনটি ও ট্রেন্ট বোল্ট একটি করে উইকেট নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।